এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,২৮ সেপ্টেম্বর : শুক্রবার ইসরায়েলের মারাত্মক হামলায় খতম হয়ে লেবাননের সন্ত্রাসী সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান ৬৪ বছর বয়সী হাসান নাসরাল্লাহ । হত্যার ভয়ে বহু বছর ধরে জনগণের দৃষ্টির বাইরে ছিল ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী । তার নেতৃত্বেই হিজবুল্লাহ ইসরাইলকে দক্ষিণ লেবানন থেকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিল। বলা হচ্ছে যে ওসামা বিন লাদেনের থেকে আরও বিপজ্জনক ছিল হিজবুল্লাহ প্রধান । এদিকে আরও একটা খবর সামনে আসছে ইরান থেকে । মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে যে ইসরায়েলের হামলার ভয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলি খামেনি(Ali Khamenei) ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী,ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেছেন । কট্টরপন্থী আলি খামেনি নিরাপদ স্থানে পালিয়ে গেছেন, যেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু বলেছেন,’ইরানে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ইসরায়েলের দীর্ঘ হাত পৌঁছাতে পারে না ।’ এরপর কী হবে তা কেউ জানে না । তবে ইসরায়েল যদি কট্টরপন্থী আলি খামেনি করতে সক্ষম হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবে ইরানের তরুন প্রজন্ম । কারন ২২ বছরের কুর্দি তরুনী মাহাসা আমিনিকে হিজাব বিধি না মানায় পিটিয়ে মারার পর থেকেই আলি খামেনি ও ইসলামি শাসনের মৃত্যু কামনা করছে ইরানের সিংহভাগ তরুন তরুনী । মূলত আলি খামেনির নির্দেশেই ইরানের ‘নারী জীবন স্বাধীনতা’ আন্দোলনে অংশ নেওয়া শতশত তরুন তরুনীকে হত্যা করা হয় । প্রকাশ্য রাস্তায় ক্রেনের সাহায্যে বহু মানুষকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় । কারাগারের ভিতরে ধর্ষণের শিকার হয় কিশোরী ও তরুনীরা । উল্লেখ্য,দিন কয়েক আগেই ভারতের মুসলিমরা নিপীড়নের শিকার বলে মন্তব্য করেছিলেন আলি খামেনি । যার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিদেশ মন্ত্রক ।।