এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৬ মে : লোকসভা নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাঝেই সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে । ওই ভিডিওকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই “সন্দেশখালির বৃহত্তর ষড়যন্ত্র”-এর ব্যাপক প্রচার শুরু করে দিয়েছে মমতা ব্যানার্জি ও তার দল তৃণমূল কংগ্রেস । এদিকে যাকে কেন্দ্র করে ওই ভিডিও, সেই গঙ্গাধর কয়াল, সন্দেশখালি-২ ব্লকের বিজেপির মন্ডল সভাপতি, ৪ মে সিবিআইয়ের কাছে তৃণমূল নেতা অভিষেক ব্যানার্জি, আই প্যাক নামে একটি সংস্থা এবং ” উইলিমাস” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে কৃত্রিম প্রযুক্তি (Artificial Intelligence) ব্যবহার করে তাকে,বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তার দলকে বদনাম করে ভোটে ফায়দা লোটার চেষ্টার অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন । এদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কথিত ‘যৌন নিগ্রহ’-এর অভিযোগ এবং সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিওতে বর্তমানে কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে রাজ্য বিজেপি ।
সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে প্রথম থেকেই অভিষেক ব্যানার্জি, আই প্যাক ও একটি নিউজ পোর্টালের মালিক জনৈক তমালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী । ফের একবার তিনি তিনি তৃণমূলকে নিশানা করে বলেছেন যে ‘আইপ্যাক এবং ভাইপো সিন্ডিকেট প্রতারণামূলক কৌশল, বিশ্বাসঘাতকতা এবং জালিয়াতির জন্য সুপরিচিত ।’ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি বৈদ্যুতিক চ্যানেলে কৃত্রিম প্রযুক্তির কুফল নিয়ে আলোচনার অংশবিশেষ ও সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,’প্রতিটি উদ্ভাবনের দুটি দিক রয়েছে, এটি একটি ইতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা যেতে পারে তবে এর অপব্যবহারও উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) যুগে, ডিপফেক-এ কি হয় না, দুর্বৃত্তরা তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করছে৷ খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের ডিপফেক ভিডিওগুলি অবিশ্বাসী লোকদের প্রলুব্ধ করার জন্য প্রচার করা হচ্ছে যাতে তারা ব্যয় করে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের কষ্টার্জিত অর্থ হারায়। সেলিব্রিটিরা এই অপব্যবহার সম্পর্কে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।’
এরপর তিনি আই প্যাক ও অভিষেক ব্যানার্জিকে নিশানা করে লিখেছেন, ‘আই(ইডিয়ট) প্যাক এবং ভাইপো সিন্ডিকেট তাদের প্রতারণামূলক কৌশল, বিশ্বাসঘাতকতা এবং জালিয়াতির জন্য সুপরিচিত। তারা পরিভাষা ব্যবহার করে – “জেহার ক্যাম্পেইন”। নামটা খুবই মানানসই। নির্মাতাদের পাশাপাশি তাদের সৃষ্টিও সমান বিষাক্ত। এই তথাকথিত সন্দেশখালী স্টিং তাদের অনৈতিক ঘর্মাক্ত দোকানের ক্ষতিকারক পণ্য।যাইহোক, তাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে একটি হাতিকে রুমাল দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না।’
শেষে তিনি লেখেন,’এই দুষ্টুমি হয়তো তাদের প্রার্থীদের মধ্যে কিছুটা আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে, যারা নির্বাচনে পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে আছে, কিন্তু সন্দেশখালীর ভয়াবহতার মাত্রা এতটাই বিশাল যে এই ধরনের কারসাজি ও জালিয়াতি জনগণের মনে কোনো সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারবে না ।’।