দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান)০৯ ডিসেম্বর : দীর্ঘদিন ধরে জমা রাখা টাকা ফেরত না পেয়ে এক চিটফান্ড কোম্পানীর এজেন্টকে আটকে রাখল বেশ কিছু বিনিয়োগকারী । বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার মইদান গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাচ্চু মান্না নামে ওই এজেন্টকে উদ্ধার করে । বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে মধ্যস্থতা করে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মইদান গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মান্না চাষবাসের পাশাপাশি একটি চিটফান্ড কোম্পানীর এজেন্টের কাজ করতেন । গ্রামের অনেক মানুষ তাঁর মাধ্যমে ওই চিটফান্ড কোম্পানীতে বিভিন্ন স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন । মইদান আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা গুঁধি কিস্কু,কালীচরণ মাড্ডিরা বলেন, ‘আমরা সবাই জনমজুরির কাজ করে অতি কষ্টে সংসার চালাই । তারই মধ্যে কেউ মাসে তিনশো টাকা, কেউ চারশো টাকা করে বাচ্চুর হাতে জমা করেছিলাম । বাচ্চু নিজের দায়িত্বে আমাদের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিল । কিন্তু নির্দিষ্ট সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও আমাদের জমা টাকা ফেরত পাচ্ছি না । বাচ্চুকে বলেও কোনও কাজ হচ্ছে না । বলছে কোম্পানী বন্ধ আছে । যেহেতু বাচ্চু নিজের দায়িত্বে আমাদের কাছে টাকা নিয়ছিল তাই সবার টাকা ওকেই ফেরত দিতে হবে।’
জানা গেছে, নিজের জমির ধান তোলার কাজের জন্য জনমজুরের খোঁজ করতে বুধবার সন্ধ্যার দিকে মইদান আদিবাসীপাড়ায় গিয়েছিলেন বাচ্চু মান্না । সেই সময় আদিবাসীপাড়ার বেশ কিছু লোকজন টাকা ফেরতের বিষয়ে বাচুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে । কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনও সদুত্তর না পেয়ে আদিবাসীপাড়ার লোকজন বাচ্চু মান্নাকে আটক করে রাখে । খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে আনে ।
এদিকে ওই চিটফান্ড সংস্থা থেকে দেওয়া বিনিয়োগের যাবতীয় নথিপত্র সঙ্গে করে এনে এদিন সকালে ভাতার থানায় হাজির হন মইদান আদিবাসীপাড়ার লোকজন ৷ তাঁরা ওই সমস্ত কাগজপত্র পুলিশকে দেখান । পুলিশ উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করে উত্তেজনা প্রশমন করে । যেহেতু চিটফান্ড মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই এনিয়ে এজেন্টের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে ।।