এইদিন ওয়েবডেস্ক,৩১ মে : শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস (আইসিজে) ইসরায়েলকে রাফাহতে তার সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে । জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আইনী সংস্থার বিরুদ্ধে উঠছে ইসরায়েল বিদ্বেষী মানসিকতার অভিযোগ । এখন দাবি করা হচ্ছে যে আন্তর্জাতিক আদালতের সভাপতি নওয়াফ সালাম, যিনি এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি নিজে পক্ষপাত দোষে দুষ্ট এবং তার ইসরায়েল-বিরোধীতার পূর্ব ইতিহাসও রয়েছে তার । অভিযোগ উঠছে যে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আইনী সংস্থাটি এখন বিশ্ব- বিদ্বেষের রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
আন্তর্জাতিক আদালতের সভাপতি নওয়াফ সালাম লেবাননের বাসিন্দা । এটি এমন একটি দেশ যেটি ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয় না। মানবাধিকার ও হলোকাস্ট সম্পর্কিত টুরো ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান বেয়েফস্কি ফক্স নিউজ ডিজিটালকে বলেছেন, ‘তিনি একজন রাজনীতিবিদ – একজন উন্মত্ত ইসরায়েল-বিরোধী রাজনীতিবিদ-যাকে জাতিসংঘ একজন বিচারক হিসাবে সাজিয়েছে ।’
বেয়েফস্কি, জাতিসংঘের একজন আইন বিশেষজ্ঞ যিনি হিউম্যান রাইটস ভয়েসেসের তদারকি করেন । তিনি বলেন,’তার ক্যাঙ্গারু কোর্ট এই মামলার তথ্য কোথা থেকে পেল? জাতিসংঘ, অবশ্যই এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার সর্বোচ্চ সংস্থা – নিরাপত্তা পরিষদ, সাধারণ পরিষদ এবং মানবাধিকার পরিষদ – এমনকি হামাস সন্ত্রাসীদের এবং তাদের ৭ অক্টোবরের নৃশংসতার নিন্দা পর্যন্ত করেনি।’
ইহুদি নিউজ সিন্ডিকেট (জেএনএস) এর একটি নিবন্ধ অনুসারে ২০১৫ সালে সালাম সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন,’যখন আমরা ইসরায়েলের সমালোচনা ও নিন্দা করি তখন এটি তার জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদি চরিত্রের কারণে নয় । অন্য কথায়, সমালোচকরা ইসরায়েলের লোকেদের বা ইহুদি-বিদ্বেষে কখনই জড়িত নয় ।’ অন্য একটি পোস্টে বলেছেন,’ইসরায়েলের নীতির সমালোচকদেরকে ইহুদি-বিরোধী হিসাবে চিত্রিত করা তাদের ভয় দেখানো এবং অসম্মান করার একটি প্রচেষ্টা, যা আমরা প্রত্যাখ্যান করি।’
এক বছর পরে, জেএনএস তাকে টুইট করে উদ্ধৃত করে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ এবং ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসানের দাবি অনেকদিন ধরেই রয়ে গেছে।‘।