বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের(এসআইআর) কাজ চলছে । সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃত,ডবল ট্রিপল এন্ট্রি,ভুয়ো ভোটার মিলে প্রায় ৬০ লাখ নাম বাদ যেতে চলেছে । এই আবহে অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে ভিড় করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম । পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আশ্বস্ত করায় অভয়বাণীও শোনানো হয়েছে ।
ইন্ডিপেন্ডেট নামে একটি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম তাদের অনলাইন এডিশনে লিখেছে,’ভারতের ভোটার তালিকা সংশোধনীর জেরে আবারও পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে ভিড় করছেন অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকেরা। দেশে ফেরার জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নতুন করে উত্তর ২৪ পরগনার হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় করছেন তাঁরা।বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে ভারতে এসেছিলেন এসব বাংলাদেশি। এদের মধ্যে অনেকেই অবৈধ উপায়ে ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই তৈরি করেছেন।
গত ৪ নভেম্বর ভারতে ভোটার তালিকা সংশোধনী শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশিদের মধ্যে এ নিয়ে আতঙ্ক বেড়েছে। তবে, এ নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কৃষ্ণনগরে গিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি মিলে “দেড় কোটি” নাম বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে । তিনি ফেসবুকে লিখেছেন,”সর্বধর্ম সমন্বয়ের এই বাংলা সম্প্রীতি ও ঐক্যের মেলবন্ধনে আবদ্ধ। আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। আমরা সকল ধর্মকে সম্মান করি, সকল সম্প্রদায়ের ভাষাকে সম্মান করি। অপরিকল্পিত ‘এসআইআর’-এর ফলে বাংলার বহু মানুষ আতঙ্কিত। ‘এসআইআর’-এর আড়ালে বাংলায় ‘এনআরসি’ করার চক্রান্ত ব্যর্থ করবে বাংলার মানুষ। অনেকে ‘এসআইআর’-এর আতঙ্ক-আবহে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। আমি তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। যাঁরা হাসপাতালে রয়েছেন তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই দুশ্চিন্তার দিনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির পরিবারগুলিকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হবে, তাছাড়াও যাঁরা অসুস্থ – হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁদের এক লক্ষ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।”।
