এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২২ জুন : মোটরচালিত ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে নির্বিচারে বন্যপ্রাণী শিকার করছিল ৪০ জনের শিকারীর দল । পাখি, গোসাপ,বেজি, কাঠবেড়ালি, বনবিড়াল মিলে শতাধিক পশুপাখিকে হত্যাও করে তারা । একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নজরে পড়লে তারা বনবিভাগকে ঘটনার কথা জানায় । এরপর বনবিভাগ সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয় । শেষ পর্যন্ত শতাধিক পশুপাখির দেহসহ আটক ৩৮ জন শিকারীকে আটক করে পুলিশ ৷ পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের ঘটনা । পুলিশ শিকারীদের পাশাপাশি তারা চড়ে আসা দুটি মোটরচালিত ভ্যান আটক করেছে । পুলিশ জানতে পেরেছে যে আটক শিকারিদলের অধিকাংশই বীরভূম জেলার বাসিন্দা। ওই দলটির সাথে থাকা শিকার করার অস্ত্রশস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
প্রসঙ্গত,কেতুগ্রাম ও কাটোয়ায় অজয় এবং ভাগিরথীর তীরবর্তী ঝোপজঙ্গলে বহু বিরল প্রজাতির পশুপাখির দেখা মেলে । মাংসের লোভে মাঝেমধ্যেই ওই এলাকাগুলিতে হানা দেয় চোরা শিকারির দল । তাদের চোরাগোপ্তা শিকারের কারনে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখির সংখ্যা দ্রুতহারে কমছে ৷ যেকারণে শিকারিদের উপর নজর রাখতে উদ্যোগী হয় স্থানীয় কিছু যুবক । তারা একটা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের পাশাপাশি এলাকায় আসা শিকারিদের উপর কড়া নজরদারি চালায় ।
জানা গেছে,আজ শনিবার ২-৩ টি মোটরভ্যানে চড়ে কেতুগ্রামের কুমোরপুর গ্রামের কাছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, গোসাপ, বেজি, কাঠবেড়ালি, বনবিড়াল প্রভৃতি শিকার করছিল বীরভূম জেলার শিকারির ওই দলটি ।কুমোরপুর গ্রামের পরিবেশপ্রেমী যুবকদের যখন বিষয়টি নজরে পড়ে তার আগেই শতাধিক পশুপাখিকে নির্বিচারে হত্যা করে শিকারিদের দলটি । যুবকরা শিকারির দলকে আটকে রেখে কাটোয়ায় বনবিভাগের কাটোয়া রেঞ্জের আধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহাকে ফোন করে বিষয়টি জানায় । এরপর বনবিভাগেরর কাছ থেকে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে দুটি মোটরভ্যানসহ ৩৮ জন শিকারিকে আটক করে । কয়েকটি পশুপাখিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।।