এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসরায়েল,০৯ অক্টোবর : তরুন ইসরায়েলি দম্পতি পতামার(Tamar) ও ইয়োনাতান (Yonatan) এবং তাদের তিন শিশু সন্তান শাচার (Shachar),আরবেল(Arbel), ওমের(Omer)কে রাস্তা থেকে অপহরণ করে ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী সংগঠন ‘হামাস’ । তাদের একটা ট্রাক্টরে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায় । সেখানে ওই ইসরায়েলি পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা । অন্য একটি ঘটনায় আর এক ইসরায়েলি দম্পতি শিরি (Shiri) ও তার স্বামী ইয়ার্ডেন(Yarden)-এর একই পরিনতি হয়েছে । তাদের ৯ মাস বয়সী সন্তান কেফির (Kfir) এবং ৩ বছরের সন্তান এরিয়াল (Ariel)কেও তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে রবিবার কিবুতজ নির-ওজের (Kibbutz Nir- Oz.) বাড়ি থেকে নির্মমভাবে অপহরণ করা হয় । গাজায় হামাসের ঠিকানায় ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,কিন্তু কি নৃশংস পরিনতির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের তা এখনো স্পষ্ট নয় । আশঙ্কা করা হচ্ছে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের ।
ইসরায়েল সরকারের অফিসিয়াল ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে,ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০০ জনে । আমরা বিধ্বস্ত। আহতদের চিকিৎসা এবং অতিরিক্ত হতাহতের ঘটনা এড়াতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এই নৃশংসতার জন্য দায়ী হামাস সন্ত্রাসীদের ভারী মূল্য দিতে হবে।’ এর পাশাপাশি কিছু ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘আমরা এই ভয়ঙ্কর চিত্রগুলি শেয়ার করব কিনা তা নিয়ে বিতর্ক করেছি, কিন্তু বিশ্বকে জানতে হবে আমরা কাদের সম্মুখীন হয়েছি ৷ এরা “মুক্তিযোদ্ধা” নয়,এরা হামাস সন্ত্রাসী । আইএসআইএস সন্ত্রাসীদের থেকে আলাদা নয় । একই কৌশল, ভিন্ন নাম ।’ আরও বলা হয়েছে,’এদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত,দর্শকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে । আপনি যে ছবিগুলি দেখতে চলেছেন তা কোনও হরর মুভির নয়৷ গত ৩৬ ঘন্টায় ইসরায়েলিদের তাদের বাড়িতে হামাস সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে৷ শিশু ও মা বন্দী। গাজার রাজপথে নারীদের লাশকে অপমান করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের কান্না শুনুন। তাদের প্রত্যেকের কথা মনে রাখবেন ।’
এদিকে এত নৃশংসতা সত্ত্বেও মুসলিম রাষ্ট্র ও অমুসলিম দেশের মুসলিম নাগরিকরা সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে । ব্যতিক্রম নয় ভারতও । আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aligarh Muslim University) কট্টর ইসলামি পড়ুয়ারা হামাসের সমর্থনে একটা মিছিল বের করে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করা হয়ে । সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সেই ভিডিওতে মুসলিম পড়ুয়াদের ‘নাড়ায়ে-এ-তকদির’, ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় শ্লোগান দিতে শোনা যায় ।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের স্থায়ী প্রতিনিধি গিলাড আরদান (Gilad Erdan) বলেছেন, ‘গত দিনগুলি প্রতিটি ইসরাইলিদের জন্য ধ্বংসাত্মক ছিল। ইসরায়েল একটি অভূতপূর্ব আক্রমণের শিকার হয়েছে এবং হতাহতের সংখ্যা বিপর্যয়কর। ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গত দুই দিনে আমার দেশ শত শত প্রাণহানির শিকার হয়েছে । হামাস সন্ত্রাসীরা ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট ছুড়েছে…শত শত হামাস সন্ত্রাসী ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে এবং রাস্তায় যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই হত্যা করছে । বাসের প্রতীক্ষায় থাকা নিরীহ ইসরায়েলি বৃদ্ধ বৃদ্ধাকেও তারা রেহাই দেয়নি । এই সন্ত্রাসীরা ঘরে ঢুকে লোকেদেরকে গুলি করে এমনভাবে হত্যা করছে যে তারা যেন পোকামাকড়… এগুলো যুদ্ধাপরাধ, নথিভুক্ত যুদ্ধাপরাধ ।’। ছবি : সন্তানদের সঙ্গে ইসরায়েলি দম্পতি পতামার ও ইয়োনাতান ।