এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,১০ মে : পাকিস্তানের ৩টি বিমানঘাঁটিতে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। পাকিস্তানের ড্রোন হামলার জবাবে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ভারত। এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি,আল জাজিরা ও রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রাওয়ালপিন্ডির নূর খান, মুরিদ ও শোরকট বিমানঘাঁটিতে হামলায় ভারত একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র। সবগুলো বিমানঘাঁটিই নিরাপদে আছে বলে জানান তিনি। কিন্তু স্থানীয়রা জানিয়েছে,রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে । করাচির বিমানঘাঁটিতেও বিশাল বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে । ভারতীয় সেনাবাহিনী ডিএইচএ ৭ এলাকায় ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে । শিয়ালকোট, ওকারা, খারিয়ান, নারোওয়াল, বাহাওয়ালনগরের পর লাহোরেও তাণ্ডব চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। সবচেয়ে বড় কথা হলো পাকিস্তান নিজেই কাঁদতে কাঁদতে এসব বলছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালনগরের একটা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, মধ্যরাতে ঘোষণা করা হয়,বাচ্চাদের বাড়ি থেকে দূরে কোথাও লুকিয়ে রাখুন । পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র হুমকি দিয়েছে,দিল্লি যা শুরু করেছে ইসলামাবাদ তা শেষ করবে ।
এদিকে ভারতের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ জানায়, তারা ভারতের বিরুদ্ধে একটি পাল্টা অভিযান শুরু করেছে। অভিযানের নাম রাখা হয়েছে অপারেশন বেনিয়ান মার্সাস। এর আগে, জম্মু-কাশ্মীরসহ ভারতের কয়েকটি এলাকায় ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং পাকিস্তানের সাথে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২৬টি স্থানে ড্রোন দেখা গেছে। এর মধ্যে সন্দেহভাজন সশস্ত্র ড্রোনও রয়েছে। এই স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, লালগড় জট্টা, জয়সালমের, বারমের, ভূজ, কুয়ারবেট এবং লক্ষী নালা। দুঃখের বিষয়, একটি সশস্ত্র ড্রোন ফিরোজপুরের একটি বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার ফলে স্থানীয় একটি পরিবারের সদস্য আহত হন। আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি খালি করেছে।
ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখেছে এবং কাউন্টার-ড্রোন সিস্টেম ব্যবহার করে এই ধরণের সমস্ত আকাশ হুমকি ট্র্যাক এবং মোকাবিলা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিবিড় এবং নিরন্তর পর্যবেক্ষণে রয়েছে এবং যেখানেই প্রয়োজন সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নাগরিকদের, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায়, ঘরের ভিতরে থাকার, অপ্রয়োজনীয় চলাচল সীমিত করার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জারি করা নিরাপত্তা নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যদিও আতঙ্কিত হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, তবুও উচ্চ সতর্কতা এবং সতর্কতা অপরিহার্য।।

