এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,০৫ এপ্রিল : অবৈধ অনুপ্রবেশ,মাদক পাচার প্রভৃতি অভিযোগে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছিল আসামের ধুবরী জেলার বাসিন্দা ৭ ব্যক্তি । বাংলাদেশের আদালত তাদের নির্দিষ্ট সময় জেলের সাজা দিয়েছিল । কিন্তু সেই সাজা কাটানোর পরেও বিনা দোষে জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে তাদের মধ্যে ৬ জনকে । ভারতের অনীহা ও বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের গয়ংগচ্ছ মানসিকতার কারনে তারা আদপেই আর বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে ।
বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলে বন্দি রয়েছে আসামের ধুবরী জেলার বাসিন্দা ওই ৯ ব্যক্তি । তাদের মধ্যে ধুবরী জেলার মাইনকারচর হাট সিংমারী এলাকার পুরান কানাই গ্রামের বাসিন্দা জলিল মিয়া ওরফে সমেজ ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর রৌমারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছিল । অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল । গত বছর ৩ জানুয়ারি তার সে সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে । একই জেলার কানাইমারা গ্রামের শাহআলম শেখ ওরফে শাহালম এবং জাহাঙ্গীর আলম সাজা কাটানোর পর দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে জেলবন্দি রয়েছে । এছাড়া ধুবরী জেলার কানাইমারা গ্রামের বাসিন্দা নুরুজ্জামান ১০ মাস,ধুবরী জেলার দক্ষিণ শালমারার দ্বীপচর গ্রামের বাসিন্দা গোলজার হোসেন ও তৈয়ব আলী ৩ মাস ধরে বিনা অপরাধে জেলে রয়েছেন । ধুবরী জেলার সুখচর নিলক্ষীরা পাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা আলী বাবুর সাজার মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছর ১ নভেম্বর । বাকিদের অবস্থা দেখার পর সাজা কাটিয়ে আদপেই আর বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা এনিয়ে তিনি সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন ।
কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন,’সময় মতো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল । বিদেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও পাওয়া গেছে । সেই মোতাবেক বিজিবির রংপুর সেক্টর কমান্ডারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে । কিন্তু এখনো অনুমোদন মেলেনি ভারতীয় হাই কমিশনের । এখন ভারতীয় পক্ষের ছাড়পত্র পেলেই আমরা পুলিশ ও বিজিবির সহায়তায় লালমনিরহাট বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে জেলের সাজা কাটানো আসামিদের ভারতকে হস্তান্তর করে দেবো ।’।
ছবি ও তথ্যসূত্র : দ্য ডেইলি যুগান্তর ।