এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর দিনাজপুর,০৭ নভেম্বর : উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী । অন্যদিকে আসামের ধুবরিতেও সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে । এই খবর জানিয়ে ডেকান ক্রনিকল লিখেছে, ‘চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে’ খুবই কম সময়ের মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এ ঘাঁটি চালু করা হয়েছে।সীমান্তরেখা বরাবর ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে’ আসামের ধুবরিতেও একটি সামরিক স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে।’
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের নতুন ২ সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের প্রক্রিয়া নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন ৷ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে এই দুই ঘাঁটি স্থাপন করা হচ্ছে নাকি বাংলাদেশের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির দ্বারা হামলার আশঙ্কায় প্রস্তুতি নিচ্ছে নয়াদিল্লি ? যদিও এর উত্তর অজানা । তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্স পোস্টে বলেছে, “লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি চোপড়ায় মোতায়েন করা সেনাদের ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেনা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালুর ক্ষেত্রে তাদের অটল উদ্যম, পেশাদারত্বও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তিনি তাদেরকে সর্বোচ্চ মানের কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সক্রিয় থাকতে বলেছেন।”
পোস্টে বলা হয়, চোপড়া বিধানসভা এলাকার বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং অন্যান্য বেসামরিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নে সামরিক-বেসামরিক সহযোগিতার গুরুত্বও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।”
লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি আসাম সীমান্তে গজরাজ কর্পসও পরিদর্শন করেন এবং ধুবরির বামুনিগাঁওয়ে লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড বলছে, “আহোম সাম্রাজ্যের কিংবদন্তি সেনাপতি লাচিত বরফুকনের নামে এই নতুন সামরিক স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে, যা সাহস, নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার অদম্য চেতনাকে প্রতিফলিত করে, যা নবজাগ্রত আসামের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।” বিবৃতিতে বলা হয়, “এই অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যক্ষমতা ও অবকাঠামোগত শক্তি বৃদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে এ স্টেশন প্রতিষ্ঠা।”
পরিদর্শনকালে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার তিওয়ারি সীমান্তের কার্যকরী প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে যেসব প্রকল্প চলছে, সেগুলোর অগ্রগতি তিনি প্রত্যক্ষ করেন।।

