এইদিন ওয়েবডেস্ক,বনগাঁ,২৯ জানুয়ারী : দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ ভিসা পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে ভারতীয় হাইকমিশন। ভিসা বন্ধ থাকায় যাত্রী সংকটে ফাঁকা পড়ে আছে বনগাঁর বেনাপোল -পেট্রাপোল স্থলবন্দর। একদিনে ভারতে গেছে মাত্র ৩৩৭ জন যাত্রী। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন সীমান্ত এলাকার ব্যাবসায়ীরা। সীমান্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, ভ্রমণ ভিসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। নামমাত্র মেডিকেল ভিসা দিচ্ছে ভারতীয় হাইকমিশন, ব্যবসায়িক ভিসাও বন্ধের পথে। ফলে বেনাপোল -পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ যাত্রী চলাচল রেকর্ড পরিমান কমেছে। এই পরিস্থিতিতে হয়রানি, দুর্ভোগ কিংবা দীর্ঘ লাইন নেই। তবে যাত্রী সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ও পরিবহন ব্যাবসায় সংশ্লিষ্টরা। ফাঁকা পড়ে আছে সীমান্তের শূন্য রেখা ও কাস্টম ইমিগ্রেশন।
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন ওসি মহম্মদ ইমতিয়াজ জানান, যেখানে প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করত দেশ বিদেশের ৭ থেকে ১০ হাজার যাত্রী, সেখানে গতকাল মঙ্গলবার বেনাপোল দিয়ে মাত্র ৩৩৭ জন যাত্রী ভারতে গেছেন। এ যেন চেনা বন্দর ও শহর অচেনা সীমান্তে পরিণত হয়েছে। ৩১ জানুয়ারীর পর যাত্রী আরও কমবে এবং ২০ ফেব্রুয়ারীর পর এই সংখ্যা অনেকাংশে কমবে বলে জানান ওসি।
ভারতগামী যাত্রী কিশোর সরকার বলেন, ‘বেনাপোল যেন এখন যাত্রী সংকটে মরুভূমিতে পরিনত হয়েছে । দুই দেশের সরকারের উদারতা ও সিদ্ধান্তের ফলে বাড়তে পারে যাত্রী। ভিসা দেওয়া শুরু হলে সংকট ।’
বাংলাদেশি ব্যাবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতাসহ রাজনৈতিক অস্তিরতার কারণে চিকিৎসা, ব্যাবসা ও ভ্রমনসহ সব ভিসা রয়েছে বন্ধের পথে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা।’ বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে,ব্যবসায়ীরা দুই দেশের সরকারের সহযোগিতা কামনা করছেন বলে জানান তিনি। ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধের কারণে অনেক পরিবহন চলাচল কমেছে। ফলে বাংলাদেশের পরিবহন শ্রমিকদের কাটছে দুরবস্থা দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবহন ব্যাবসায়ী অলস সময় কাটাতে হচ্ছে । এমন পরিস্থিতির সমাধান চাইছেন তারা ।।