এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৪ এপ্রিল : জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত পাকিস্তানের সাথে আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এই সীমান্ত দিয়েই পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্য হত। ২৩শে এপ্রিল সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিএস) একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও উপস্থিত ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই, বিদেশ মন্ত্রক এক ব্রিফিংয়ে জানিয়ে দেয় যে ভারত সরকার আটারি সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আটারি সীমান্ত ভারতের দিকে, আর ওয়াঘা সীমান্ত পাকিস্তানের দিকে। এই সীমান্তকে পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সিসিএসের অধীনে গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন,ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট আটারি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। যারা বৈধ অনুমোদন নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছেন তারা ২০২৫ সালের ১ মের আগে সেই পথ (আট্টারি) দিয়ে ফিরে আসতে পারবেন।
এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্যের উপর কী প্রভাব ফেলবে?
আটারি সীমান্তই একমাত্র স্থলপথ যার মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্যের অনুমতি রয়েছে। এখান থেকে ভারত সয়াবিন, মুরগির খাবার, শাকসবজি, প্লাস্টিকের শস্য, প্লাস্টিকের সুতা, লাল মরিচ ইত্যাদি জিনিসপত্র পাকিস্তানে পাঠায়।
একই সময়ে, পাকিস্তান থেকে শুকনো ফল, খেজুর, লবণ, সিমেন্ট, কাচ, সৈন্ধক লবণ এবং ভেষজ জাতীয় জিনিস ভারতে আসে। তবে, ২০১৮-২০১৯ সাল থেকে আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালে, আটারি-ওয়াঘা করিডোরের মাধ্যমে প্রায় ৩,৮৮৬.৫৩ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছিল। মাত্র ৬,৮৭১টি পণ্যবাহী ট্রেন এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেছে এবং ৭১,৫৬৩ জনেরও বেশি মানুষ এই পথ দিয়ে যাতায়াত করেছে।
এখন যেহেতু এই সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, তাই সবচেয়ে বড় সমস্যার মুখোমুখি হবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এবং এই পথ দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসা করে এমন শিল্পগুলি। বিশেষ করে সেইসব ব্যবসায়ীরা যারা আফগানিস্তান দিয়ে আসা পণ্যের উপর নির্ভরশীল। এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য একটি ধাক্কা হতে পারে, কারণ আফগানিস্তানের পণ্যগুলিও আটারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তান হয়ে ভারতে আসে।।

