এইদিন স্পোর্টস নিউজ,১৪ জুলাই : পাকিস্তানকে পরাজিত করে প্রথম ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লিজেন্ডস ট্রফি জিতল ভারত । যুবরাজ সিং-এর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় চ্যাম্পিয়নরা শনিবার,১৩ জুলাই বার্মিংহামের এজবাস্টনে খেলা ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানি চ্যাম্পিয়নদের ৫ উইকেটে পরাজিত করে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক ইউনিস খান। পাকিস্তান দল ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে । জবাবে ভারত ১৯.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এবং ৫ উইকেটে সহজ জয় নিবন্ধন করে। মাত্র ৩০ বলে ৫০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ভারতের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন আম্বাতি রায়ডু।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ভারত। পাওয়ারপ্লেতে ওপেনার রবিন উথাপ্পা ও রায়ডু সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানি বোলারদের মোকাবিলা করেন। প্রথম ওভারেই আমির ইয়ামিনকে একটি চার ও একটি ছক্কা মেরে ভারতীয় ইনিংসের সূচনা করেন রায়ডু। উথাপ্পাও অপর প্রান্ত থেকে আক্রমণ চালিয়ে যান এবং পরের ওভারে ইয়ামিনকে দুটি চার মারেন। তবে, তিনি তার বড় ইনিংস গড়ে তুলতে ব্যর্থ হন এবং একই ওভারে আউট হন। সুরেশ রায়না তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চার মেরে খাতা খোলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই সোহেল সরাসরি তানভীরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরত চলে যান । ভারতের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৩৮ রান ।
পরপর দুই উইকেট চলে যাওয়ার জন্য পরে দলের হাল ধরেন রায়ডু । গুরকিরাত সিং মান-এর সঙ্গে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তিনি। রায়ডু মাত্র ২৯ বলে তার অর্ধশতক পূর্ণ করেন এবং ১১ ওভারের পরে ভারতকে দুই উইকেটে ৯৮ রানে নিয়ে যান। ম্যাচটি যখন ভারতের হাতের মুঠোয় দেখা যাচ্ছে, তখন
পাকিস্তান আম্বাতি রায়ডু (৩০ বলে ৫০) এবং গুরকিরাত সিং মান (৩৩ বলে ৩৪) এর উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে । তবে ইনিংসের শেষের দিকে পাকিস্তান কয়েকটি ক্যাচ ফেলে দেয়, আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউসুফ পাঠান এবং যুবরাজ সিং ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ।
এর আগে পাকিস্তানের শুরুটা ভালো হয়নি । অনুরীত সিং দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার শারজিল খানকে (১০ বলে ১২ রান) আউট করেন, যখন পাকিস্তানের মাত্র ১৪ রান ছিল । সোহাব মাকসুদও ভালো শুরুকে বড় ইনিংসে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হন এবং ১২ বলে ২১ রান করে বিনয় কুমারের শিকার হন। কামরান আকমল ২৪ রান করে দলের আশা জাগান, কিন্তু নবম ওভারে পবন নেগির শিকার হন তিনি । ৮.২ ওভারের পরে পাকিস্তানের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৬৮ রান । এদিকে এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়তে থাকে এবং অন্য প্রান্তে শোয়েব মালিক দলের হাল ধরে রাখার জন্য লড়াই চালিয়ে যান । এরই মাঝে চোট পেলে প্যাভিলিয়নে ফেরত চলে যান মিসবাহ-উল-হক । সোহেল তানভীর ৯ বলে ১৯ রান করলে দলের রান কিছুটা বৃদ্ধি পায়। শেষ পর্যন্ত মিসবাহকে ছাড়া পাকিস্তান ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করতে সক্ষম হয় ।।