এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১১ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশ বা পাকিস্তান নয়, দুর্গোৎসবের ঠিক মুখেই অসম্পূর্ণ দুর্গাপ্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে খাস পশ্চিমবঙ্গে । উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সন্দেশখালী ব্লকের ন্যাজাট থানার অধীনে মাঝের সরবেরিয়া গ্রামের ‘মাঝের সার্বেরিয়া নতুন মিলন সংঘ’ ক্লাবে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি মন্তব্য করেছেন,’বাংলাদেশী সংস্কৃতি প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে সংক্রামকভাবে প্রবেশ করেছে ।’পাশাপাশি তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন,’পুলিশ সম্ভবত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করবে না কারণ তারা টিএমসির ভোটব্যাঙ্ক গঠন করে এবং সরাসরি শাসক দলের দ্বারা আশ্রয়প্রাপ্ত।’
ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে ন্যাজাট থানায় দায়ের করা অভিযোগ পত্র ও প্রতিমা ভাঙচুরের ছবি ও ভিডিও এক্স-এ পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা । ক্লাব সম্পাদক দাসের স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, ২০১২ সাল থেকে ‘মাঝের সার্বেরিয়া নতুন মিলন সংঘ’ ক্লাবের তরফে প্রতি বছর দুর্গাপূজা করে আসছেন তারা । প্রতি বারেই প্রতিমা নির্মানের কাজ ক্লাব প্রাঙ্গনের মধ্যেই হয়৷ এবারেও যথারীতি প্রতিমা নির্মানের কাজ শুরু হয়েছিল । কিন্তু মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সকাল ১০ টা নাগাদ তাদের চোখে পড়ে যে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের দ্বারা । তিনি ক্লাবের তরফে দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন ।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’মনে হচ্ছে দেব-দেবীর মূর্তি ভাংচুরের বাংলাদেশী সংস্কৃতি প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে সংক্রামকভাবে প্রবেশ করেছে! গতকাল সন্দেশখালীর ‘মাঝের সার্বেরিয়া নতুন মিলন সংঘ’ ক্লাবের সদস্যরা দুর্বৃত্তদের দ্বারা দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা দেখে বিস্মিত হয়ে যান । উত্তর ২৪ পরগণা জেলার ন্যাজাট থানার অধীনে,আগরহাটি পোস্ট অফিসের অন্তর্গত মাঝের সরবেরিয়া গ্রামের মন্দিরের পাশে ।’ এরপর তিনি লিখেছেন,’পুলিশের কাছে একটা অভিযোগ যথাযথভাবে দাখিল করা হয়েছে, তবে সম্ভবত এক্ষেত্রেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না কারণ কারণ স্থানীয় পুলিশ সম্ভবত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করবে না কারণ তারা টিএমসির ভোটব্যাঙ্ক গঠন করে এবং সরাসরি শাসক দলের দ্বারা আশ্রয়প্রাপ্ত । কয়েকজন গ্রামবাসী বলছেন, এর আগে অবৈধ বাংলাদেশি রোহিঙ্গা মুনছুর মোল্লা ও ফজের আলী মোল্লা গ্রামের মন্দির ভাঙচুরের হুমকি দিয়েছিল । তারা টিএমসি উপপ্রধান যাদব মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। আমি পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি এবং মুখ্য সচিব (প্রধান পশ্চিম) কে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব কারণ ঘটনাটি বাংলাদেশে নয়, ভারতে।’।