আজিজুর রহমান,গলসি(পূর্ব বর্ধমান),০৬ জুলাই : রাস্তা সংস্কারসহ একাধিক দাবিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি-১ ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে ত্রিপল পেতে রীতিমতো ধর্নার বসলেন একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা । বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ পঞ্চায়েত অফিস খোলার পরই পার্শ্ববর্তী খুরাজ, সিহিগ্রাম ও পারাজ গ্রামের পাঁচ শতাধিক মানুষ পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতে অফিসে এসে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন । আর তার কিছুক্ষণ পরেই পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ত্রিপল বিছিয়ে ধর্ণায় বসে পড়েন । আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল বিভিন্ন দাবিতে লেখা একটি করে প্লাকার্ড । এলাকার রাস্তা সারাই, জেনারেল রিলিফের (জিআর) গমের হিসাব, ও কোবিডের সময় সরকারি সাহায্য না দেওয়ার প্রতিবাদে তারা এদিন ধর্ণায় বসেছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা ।
স্থানীয় বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মন্ডল,মনসা রুইদাস বলেন, ‘খুরাজ থেকে পারাজ যাবার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে । রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্তের কারনে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে । পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে একাধিকবার জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি ।’
পারাজের বাসিন্দা শিবানী রুইদাস ও বেলা রুইদাস, বলেন,’চার বছর হল জিআর এর গম পায়নি। এর আগে আমাদের গম সবাইকে ভাগ করে দিয়েছিল। আমরা বিধবা মানুষ। সরকারি সাহায্য যদি না পাই তাহলে কি করে চলবে আমাদের ? আমরা পঞ্চায়েত প্রধানকে বলেছিলেন। তিনি বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন । কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার । তাই বাধ্য হয়ে আমরা ধর্নার বসেছি। যতক্ষন প্রর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না হবে ততক্ষন আমরা উঠবো না ।’
এদিকে অভিযোগ প্রসঙ্গে বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান সজাহান সেখ বলেন,’খুরাজ থেকে পারাজ যাবার ওই রাস্তাটি বেশ কয়েকবার মেরামতি করা হয়েছে । পিচ রাস্তা করার জন্য জেলা পরিষদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল । অনুমোদনও পাওয়া গেছে । কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে ।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিআর-এর গম খাদ্য দপ্তর দেয় । খাদ্য দপ্তর যদি জিআর না পাঠায় তাহলে আমরা কি করতে পারি?’
এদিকে লাগাতার বিক্ষোভের জেরে পঞ্চায়েত কার্যালয় চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । খবর পেয়ে আসে গলসি থানার পুলিশ । দুপুর নাগাদ ছুটে আসেন গলসি-১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও দীপঙ্কর রায় । তিনি এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেন । কথা বলেন প্রধানের সাথেও । শেষে যুগ্ম বিডিওর আশ্বাসে ধর্না তুলে নেন আন্দোলনকারীরা ।।