প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ জানুয়ারী : ডাকঘরেও এবার কি তাহলে থাবা বসিয়েছে প্রতারণা চক্র!পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রসুলপুর ডাকঘরের ঘটনায় অন্তত যেন তারই ইঙ্গিত প্রকাশ পেয়েছে।ডাকঘরে জমা করা সঞ্চয়ের ৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে
মনোজিৎ মিদ্দে।মেমারি থানার পুলিশ বুধবার ভোররাতে মেমারির চাকনাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। টাকা উদ্ধার করতে এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে ধৃতকে ১০দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় তদন্তকারী অফিসার । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মেমারি থানার দলুইবাজারের বাসিন্দা টুলু শর্মা রসুলপুর ডাকঘরে গিয়ে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করেন।তার মধ্যে তাঁর মায়ের নামে ২ লক্ষ টাকা এবং স্ত্রীর নামে আরও ২৫ হাজার টাকাও রয়েছে। তিনিমান্থলি ইনকাম স্কিমে টাকা জমা করেন । টুলু শর্মার অভিযোগ,তিনি ডাকঘরে গিয়ে মনোজিৎ-এর কাছে টাকা জমা করেন। ডাকঘরে সেই সময় পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টার ও অন্য কর্মীরাও ছিলেন। টাকা জমা হয়ে গেছে বলে জানিয়ে মনোজিৎ তাঁকে পোস্ট অফিসের সিল ছাপ মারা রসিদ দেয়। টাকা জমা করার পর তিনি বেশ কয়েকবার মনোজিৎ-এর কাছে সাির্টফিকেট চান। কিন্তু, অভিযুক্ত তাঁকে সাির্টফিকেট দেয়নি।এর পর পুণরা গত ২৭ ডিসেম্বর তিনি ডাকঘরে গিয়ে মনোজিৎ-এর কাছে সাির্টফিকেট চান। অভিযুক্ত তখন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে টুলুর অভিযোগ।
মনোজিৎ-এর ব্যবহার সন্দেহজনক লাগার টুলু বিষয়টি পোস্ট মাস্টারকে জানান। রসিদ দেখে কোনও টাকা ডাকঘরে জমা পড়েনি বলে তাঁকে জানিয়ে দেন পোস্ট মাস্টার। এরপরই তিনি সোমবার মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশকে টুলু শর্মা জানান,অভিযুক্ত একইভাবে আরও অনেকের টাকা আত্মসাত করেছে। তাঁর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেমারি থানা জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে মনোজিৎ মিদ্দেকে গ্রেপ্তার করে ।।