এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,২১ জুলাই : সপ্তম শ্রেনীর এক অসুস্থ ছাত্রীকে ভূতে ধরেছে মনে করে স্থানীয় এক গুনিনের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার । সেই গুনিন ভুত ছাড়ানোর নাম করে মেয়েটির উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যরা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গেলে গুনিন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । শেষে খবর পেয়ে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার মেজিয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাউরী পাড়ায় ।
জানা গেছে,মেজিয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামে বাড়ি ওই কিশোরীর । সে তেলেন্ডি পুরুনিয়া হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী । শারিরীক অসুস্থতার কারনে বুধবার সন্ধ্যে থেকে সে অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে । তাই তাকে ভূতে ধরেছে মনে করেপরিবারের লোকজন বেলিয়াতোড় থানার গদারডিহি এলাকার এক মহিলা গুনিনকে ডেকে পাঠায় । ডাক পেয়ে এদিন সকালে ওই মহিলা ওঝা দুই পুরুষ সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে রামচন্দ্রপুর গ্রামে আসেন । ছাত্রীদের বাড়ির অদূরে ত্রিপল টাঙিয়ে শুরু হয় পুজা অর্চনা । ভূত তাড়ানোর নামে ছাত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার চলতে থাকে বলেও অভিযোগ ।
জানা গেছে,এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে রামচন্দ্রপুর গ্রামে যান পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা । তাঁরা গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে গুনিনের কবল থেকে মেয়েটিকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন । আর তখনই গুনিন, তাঁর সহযোগী এবং গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীদের উদ্দেশ্য অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে বলে অভিযোগ । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বিজ্ঞানমঞ্চের তরফে মেজিয়া থানার পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয় । এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো রকমে অসুস্থ কিশোরী ও বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীদের গ্রাম থেকে উদ্ধার করে আনে । যদিও এই
বিষয়ে নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হয়নি ছাত্রীর পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা ।।