এইদিন ওয়েবডেস্ক,আম্বালা,২৩ ফেব্রুয়ারী : আন্দোলনের নামে কার্যত খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের কায়দায় নাশকতা চালাচ্ছে পাঞ্জাবের কৃষকরা । এযাবৎ হরিয়ানায় কোটি কোটি টাকার সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে দিয়েছে কথিত আন্দোলনকারী কৃষকরা । কৃষকদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুই পুলিশকর্মীর এবং ৩০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছে । তার মধ্যে একজন পুলিশ কর্মীর মাথায় কৃষকদের ছোড়া পাথর লেগে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । এমত পরিস্থিতিতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা সরকার । বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) হরিয়ানার আম্বালা পুলিশের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে উপদ্রবি কৃষকদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন ১৯৮০/এনএসএ-এর অধীনে মামলা অজু করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে । শুধু তাই নয়, যে পরিমাণ সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা উসুল করা হবে উপদ্রবি কৃষকদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ।
আম্বালা পুলিশের প্রেস নোটে বলা হয়েছে, ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন ১৯৮০/এনএসএ-এর অধীনে কৃষক সংগঠনের প্রধান কর্মকর্তা এবং আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। গত ১৩ থেকে, কৃষকদের দিল্লির দিকে পদযাত্রার ক্ষেত্রে শম্ভু সীমান্তে(পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমান্ত) লাগানো ব্যারিকেডগুলি ভাঙার জন্য কৃষক সংগঠনগুলি ক্রমাগত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিদিনই পুলিশ প্রশাসনের ওপর পাথর ছুড়ে, তোলপাড় সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে। এ সময় সরকারের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা । যাতে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ আন্দোলনে প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে । একজন জন পুলিশ সদস্যের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং ২ জন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।’
পুলিশের অভিযোগ যে ‘অনেক কৃষক নেতা এই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করতে কাজ করছেন। ক্রমাগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য লাগাতার পোস্ট করা হচ্ছে। এ আন্দোলনে আন্দোলনকারীদের লাগাতার বক্তব্যের মাধ্যমে প্রশাসনের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হচ্ছে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে ভুল শব্দ ব্যবহার করে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আন্দোলনের আড়ালে বিদ্রোহীরা নাশকতা সৃষ্টি করছে।’
আম্বালা পুলিশ জানিয়েছে, অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তা আইন ১৯৮০ (এনএসএ আইন)-এর ধারা ২(৩)- এর অধীনে কৃষক সংগঠনের কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে যাতে সামাজিক সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে আন্দোলন বজায় থাকে ।’
জানা গেছে, হরিয়ানার আম্বালা পুলিশ ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের জাতীয় সভাপতি শহীদ ভগৎ সিং এবং কিষাণ মজদুর মোর্চার সদস্য অমরজিৎ সিং মোহরির বাড়িতে একটি পুলিশ নোটিশ সাঁটিয়ে দিয়ে এসেছে। এতে লেখা আছে যে অমরজিৎ সিং এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন যা এখন প্রচণ্ড আকার ধারণ করছে। আন্দোলনকারীদের দ্বারা সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে করা হবে ।।