প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে রাজ্যজুড়ে।তারই মাঝে এক গৃহবধূকে গণ ধর্ষণের অভিযোগে তোলপাড় পড়লো পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।তবে এই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পুলিশ বিশ্বজিৎ হাজরা নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করছে।অপর অভিযুক্ত রাজেশ নন্দীকে জালে পোরার জন্য পুলিশ জোরদার তৎপরতা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,ডাক্তার দেখানোর জন্য ওই গৃহবধূ ১৫ আগষ্ট তাঁদের গ্রামের বাড়ি থেকে গাফুলিয়া গ্রামের রাজেশ নন্দী হাজরার সঙ্গে টোটো করে কাটোয়া শহরে পৌছান । বেলা আড়াই টা নাগাদ ডাক্তার দেখানো হওয়ার পর রাজেশ নন্দী গৃহবধূকে কাটোয়া লেলিন সরণীর মহামায়া হোটেলে নিয়ে যায় ।অভিযোগ হোটেলে রাজেশ নন্দী গাফুলিয়া গ্রাম নিবাসী তাঁর বন্ধু বিশ্বজিৎ হাজরা মিলে কোল্ড ড্রিঙ্কের সঙ্গে নেশার দ্রব্য মিশিয়ে গৃহবধূকে খায়িয়ে অচৈতন্য করেদেয়। তারপর তারা দু’জনে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।বধূর হুঁশ ফিরলে অভিযুক্তরা ধর্ষণের সময়কার ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি বধূকে দেয়।হুমকি দিয়েই গুসুম্বা গ্রামের বিশ্বজিৎ হাজরা জবরদস্তি তাঁর বাড়িতে গৃহবধূকে নিয়ে গিয়ে ফের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার কথা গৃহবধূ হাদরাবাদে কর্মরত তাঁর স্বামীকে ফোনে জানায়। ১৭ আগস্ট বিকালে স্বামী ও দেওর গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে গৃহবধূর কাছে সমস্ত ঘটনা জানার পর গৃহবধূর স্বামী কাটোয়া থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ তদন্তে নেমে বিশ্বজিৎ হাজরাকে গ্রেপ্তার করেছে। এদিন তাকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে সাত দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বজিৎকে হেপাজতে নিয়েই কাটোয়া থানার পুলিশ অপর অভিযুক্ত রাজেশ নন্দীর নাগাল পেতে চাইছে ।।