এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৭ আগস্ট : কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসকের গনধর্ষণ ও নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড়ের মাঝেই ফের পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । মৃত শিশুর নাম প্রিয়জিৎ মণ্ডল (৩) । কেতুগ্রামের কাটুন্দিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল ও রেবাদেবীর একমাত্র সন্তান প্রিয়জিৎ । পায়ে আঘাতের কারনে আজ শনিবার সকালে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু দুপুর বারোটা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয় । এই ঘটনায় চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে । যদিও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাটোয়া হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল ।
জানা গেছে,আজ সকালের দিকে রেবাদেবী সবজি কাটার সময় বঁটিটি পাশে রেখে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় প্রিয়জিৎ খেলা করতে করতে বঁটিতে উলটে পড়ে । তার বাম পায়ের থাইয়ের অংশে কেটে গিয়ে প্রবল রক্তক্ষরণ শুরু হয় । তড়িঘড়ি শিশুটিকে কেতুগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কাটোয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় ৷ এরপর কাটোয়া হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তোলার শিশুবিভাগে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে । কিন্তু ওয়ার্ডে আনার কিছুক্ষণ পরেই খিঁচুনি শুরু হয় তার ।
সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন,’শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আমরা দ্রুত অক্সিজেন দিই শিশুটিকে । কিন্তু তার শারিরীক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল । চিকিৎসা চালানোর পাশাপাশি শিশুটিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যও পরিবারকে পরামর্শ দিয়েছিলাম । আমরা যথাযথ চিকিৎসা করছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে শিশুটিকে বাঁচাতে পারেনি ।’ তিনি দাবি করেছেন যে শিশুটির খিঁচুনি রোগ ছিল । চিকিৎসার কোনো গাফেলতি ছিল না৷
অন্যদিকে প্রসেনজিতবাবুর অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান যে হাসপাতালের শল্য বিভাগের চিকিৎসক ডঃ তাপস সরকার তার ছেলের অস্ত্রোপচার করেছিলেন ।।