প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৪ ফেব্রুয়ারী : সাবান সহযোগে হাঁড়িতে ফুটলো বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হোষ্টেলে ছাত্রদের খাবারের ভাত । শুধু ফোটাই নয় ,সাবানের ফেনায় উপচে পড়লো ভাতের হাঁড়ি। তা দেখে রবিবার চোখ কপালো উঠে যায় ছাত্রদের ।এর পর হাঁড়িতে সিদ্ধ হওয়া ভাত ছাঁকা হতেই বেরিয়ে আসে সাবান। তা দেখে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ হোষ্টেলের শতাধীক ছাত্র ক্ষোভে ফেটে পড়তেই হোস্টেলের রান্নাঘর ছেড়ে বেপাত্তা হয়েযায় রাঁধুনীরা।এনিয়ে ছাত্ররা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় এদিন দুপুরের ছাত্রদের খাওয়া কার্যত লাটে ওঠে ।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করো ১১০ জন ছাত্র । সেই হোস্টেলের ছাত্রদের খাবার রান্নার জন্য একজন রাঁধুনি ও একজন হেল্পার নির্ধারিত থাকলেও আরো একজনের বেশি আসেনা।ছাত্রদের অভিযোগ,এদিন দুপুরে খাওয়ার ভাত যখন হোস্টেলের রান্না গরে রান্না করা হচ্ছিল তখন ভাতে প্রচুর পরিমাণে ফেনা দেখা যাচ্ছিল।এরপর ভাত ছাঁকার সময় ভাতের হাঁড়ি থেকে সাবান মেলে ।রাঁধুনি তা দেখে তাদের জানায় ,“এই ভাত না খাওয়াই ভাল।এই ভাত খেলে শরীর অসুস্থ হতে পারে ”। রাঁধুনী এই কথা বললেও হোস্টেলের ছাত্রদের জন্যে নতুন করে আর ভাত রান্না না করেই রাঁধুনি ও তাঁর হেল্পার হোষ্টেল ছেড়ে চলে যায়। হোষ্টেলের ১১০ জন ছাত্র দুপুরে কি খাবে ,তার কোন ব্যবস্থা কেউ করে না । বিষয়টি নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ফোনে অভিযোগ জানান। কিন্তু কোন লাভ হয়না। সেই কারণে অরবিন্দ হোষ্টেলের প্লেসমেন্ট অফিসার চন্দন চৌধুরী পরে হোষ্টেলে পৌছালে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা।
প্লেসমেন্ট অফিসার চন্দন চৌধুরী জানান,তিনি ঘটনাটা শুনেছেন। বিষয়টি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন । উর্ধতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন“।আর রাঁধুনি নিমাই ঘোষাল বলেন,“ভাত ছাকার সময় সাবান দেখতে পাই । তাই ওই ভাত খাওয়া যাবে না বলে আমি ছাত্রদের জানিয়েছিলাম“। তবে পুনরায় ভাত রান্না না করে চলে যাবার বিষয়টি যদিও রাঁধুনী স্বীকার করে যান।।