এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৯ সেপ্টেম্বর : আজ সোমবার আরজি করের ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ খুনের মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে । প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়. বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা মুখ বন্ধ খামে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দলেন । সেই সাথে তিনি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিকৃত করার অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিকৃত করা ছাড়াও পুলিশের ডিসি নর্থ নিহত নির্যাতিতা তরুনী চিকিৎসকের পরিবারকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলে । যদিও প্রধান বিচারপতি পরবর্তী রিপোর্টে সিবিআইকে এই বিষয়টিও উল্লেখ রাখার নির্দেশ দেন । আগামী সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে ফের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বললেন,খোলা এজলাসে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। যাতে তদন্তে প্রভাব পড়ে। আগামী সোমবার তদন্তের আবার স্টেটাস রিপোর্ট দিন। ১৭ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ।
আরজি করের ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ খুনের ঘটনা এক মাস পূর্ণ হল । স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছিল শীর্ষ আদালত। প্রথম শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছিল। বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বক্তব্য ছিল, তাঁর ৩৪ বছরের কর্মজীবনে কোনও মামলায় পুলিশ ও প্রশাসনের এমন চরম গাফিলতি তিনি কখনও শোনেননি ।
তরুণী চিকিৎসকের দেহ হাসপাতালের সেমিনার হল দেহ উদ্ধারের পর থেকে মৃতার পরিবারকে ফোনে তিনবার তিন রকম তথ্য দেওয়া হয় তরুণীর বাবা-মাকে । তিন ঘণ্টা মেয়ের দেহ দেখতে না দেওয়া, ময়নাতদন্তে দেরি, শ্মশানে আগে অন্য দুটি মৃতদেহ থাকা সত্ত্বেও নিহত চিকিৎসকের দেহ তড়িঘড়ি দাহ, রাত পৌনে বারোটায় এফআইআর দায়ের করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে৷ এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে তুলোধোনা করেন বিচারপতিরা। পরবর্তী শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত থাকলেও প্রধান বিচারপতির অসুস্থতার কারণে স্থগিত হয়ে যায় ।আজ ফের এই মামলার শুনানি হয় ।
জনস্বার্থ মামলার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । তিনি অভিযোগ তোলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উপস্থিত চিকিৎসকরা একটি লবির । রাত পৌনে ১২টায় এফআইআর দায়ের নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ।সিবিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী তুষার মেহতা প্রশ্ন তোলেন, দুপুর ২.৩০ থেকে রাত ১১.৩০টা পর্যন্ত ১০টি জিডি রয়েছে। তাহলে একটি কি ভুয়ো? নাকি পরে তা তৈরি করা হয়েছে ? তিনি আরও বলেন,আমাদের কাছে ফরেনসিক রিপোর্ট আছে। সকাল ৯:৩০ নাগাদ যখন তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়, তাঁকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায়। জিনস ও অন্তর্বাস খোলা ছিল। দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সিএফএসএল-এ পাঠানো হয়েছে । রাজ্যের স্টেটাস রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। রিপোর্টে কী আছে? কী গোপন করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে তাঁর দাবি, রাজ্য পুলিশের যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দিয়েছে রাজ্য, তা তাঁদের দেখানো হোক। আজও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কপিল সিব্বাল সহ মোট ৩১ সদস্যের আইনজীবীদের দল আদালতে উপস্থিত ছিলেন ।।