এইদিন ওয়েবডেস্ক,রতুয়া(মালদা),০৪, সেপ্টেম্বর : গরু পাচার ও শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে শোড়গোলের মাঝেই পঞ্চায়েত ভবনের পুরনো সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ উঠল মালদা জেলার রতুয়ার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে । আর এই অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েতেরই তৃণমূলের দু’একজন সদস্য । ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতে । এদিকে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
জানা গেছে,রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বরে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি নতুন কমিউনিটি হল তৈরির প্রক্রিয়া চলছে । এজন্য ৩ টি পুরনো ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে । আর ভেঙে ফেলা ভবনগুলির ইঁট,কপাট,জানালা,গ্রিল,রড এবং পুরনো আসবাব পত্র নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক ।
পঞ্চায়েতের সদস্য অবাইদুল্লার অভিযোগ,’প্রধান জুসি সাহা মন্ডল, উপপ্রধান হিম্মাত খান এবং আরো ৩ জন গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য টেন্ডার না করেই অবৈধভাবে তাঁদের ঘনিষ্ঠ এক ঠিকাদারকে দিয়ে বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছেন। আর সেই পুরনো বিল্ডিংয়ের দরজা,জানালা,রড,গ্রিল,ইঁটসহ পুরনো সামগ্রীগুলি বিক্রিও করে দিয়েছেন তাঁরা । এই বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা আমাদের কোন কিছু জানাতে অস্বীকার করেন ।’ একই অভিযোগ তুলেছেন, পঞ্চায়েতের সদস্যা সিতারা বিবিও । তাঁরা জানিয়েছেন,এনিয়ে তাঁরা লিখিতভাবে রতুয়া থানা ও রতুয়া-১ ব্লকের বিডিওকে জানিয়েছেন । শুধু তাইই নয়,পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান গোপনে বিজেপি করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন অবাইদুল্লা ।
যদিও বাহারাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জুসি সাহা মন্ডলকে এনিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি । তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হিম্মাত খান তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, সরকারি নিয়ম মেনেই বিল্ডিং ভাঙ্গার কাজ শুরু হয়েছে । তার আগে সঞ্চালকদের সঙ্গে নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিং করে টেন্ডার করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান । বিষয়টি বিডিও সাহেবকে জানানো হয়েছিল । বিডিও সাহেব অনুমতিও দিয়েছিলেন । কোনো বেআইনি কাজ হয়নি ।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮ জন তৃণমূলের সদস্য । এখানে বিজেপির কেউ নেই । আমরা সবাই তৃণমূলর প্রতীকে জিতেছি । আমাদের কাছে শংসাপত্রও রয়েছে । আমাদের বদনাম করার জন্য বিজেপির তকমা দেওয়া হচ্ছে ।’ তাঁর পালটা অভিযোগ,’বাহারালের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ মিনু ঠিকাদারের কাছে কাটমানি চেয়েছিলেন । ঠিকাদার কাটমানি না দেওয়ায় আমাদের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছে ।’ যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির কোনো প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি ।।