শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),০৭ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরে বাইক দূর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের । পুলিশ জানিয়েছে,মৃত যুবকের নাম অরবিন্দ সাঁতরা(২২) । তাঁর বাড়ি মন্তেশ্বর ব্লকের মামুদপুর -১ অঞ্চলের বন্ধুপুর গ্রামে । সোমবার ভোর রাতে মন্তেশ্বর থানার রাইগ্ৰাম স্কুল মোড়ের কাছে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় ।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে,মন্তেশ্বর থানার রাইগ্রামে শ্বশুরবাড়ি অরবিন্দ সাঁতরার । গোরাচাঁদের পূজো উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে রাইগ্রামে মেলা চলছে । রবিবার রাতে মেলায় অনুষ্ঠিত হওয়া বিচিত্রানুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলে ওই যুবক । মৃতের বাবা চাঁদু সাঁতরা বলেন, ‘এদিন ভোর রাত্রি প্রায় ২ টো নাগাদ ফোনে খবর দেওয়া হয় আমার ছেলে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে । একথা শোনার পরেই আমরা সেখানে ছুটে যাই । দেখি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । কিছুটা দুরেই ছেলের বাইকটিকে পড়ে থাকতে দেখি । বাইকের সামনে অংশ দুমরে মুচরে গেছে । এরপর ছেলেকে উদ্ধার করে মন্তেশ্বর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ।’
জানা গেছে,রাতে মেলা দেখার পর রাইগ্রাম থেকে মন্তেশ্বর-নবদ্বীপ সড়কপথ ধরে বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন অরবিন্দ । কিন্তু তিনি রাইগ্ৰাম স্কুল মোড়ের কাছাকাছি আসতেই বিপরীত দিক থেকে আসা কোনও গাড়ির হেডলাইটের আলো তাঁর মুখে এসে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন বলে অনুমান স্থানীয়দের । তারপর বাইক নিয়ে রাস্তার পাশে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা দিলে দূর্ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় । জানা গেছে,বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের । তাঁর বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও বছর খানেকের এক শিশুসন্তান । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ পরিবার পরিজন ও প্রতিবেশীরা ৷
অন্যদিকে ভাইয়ের সঙ্গে খুনসুটির জেরে অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল মন্তেশ্বর ব্লকের মামুদপুর-২ অঞ্চলের কাইগ্রামের মাঝডাঙ্গা পাড়ার বাসিন্দা এক কিশোরী । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতের নাম পিঙ্কি প্রামানিক (১৩) । সে কাইগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল । পরিবার সুত্রে জানা গেছে,রবিবার সন্ধ্যায় পিঙ্কি ও তার ভাই একটি ঘরে বসে পড়াশোনা করছিল । পরিবারের অনান্য সদস্যরা তখন টিভি দেখায় ব্যস্ত ছিলেন । সেই সময় পিঙ্গি ও তার ভাইয়ের মধ্যে কোনও কারনে খুনসুটি শুরু হয় । তারই মাঝে পিঙ্কির ভাই তার দিদির একটি বইয়ের পাতা ছিঁড়ে যায় । আর সেই অভিমানে অন্য একটি ঘরে ঢুকে দরজায় খিল দিয়ে নিজের ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে পিঙ্গি । পরিবারের লোকজনের নজরে পড়লে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পিঙ্গিকে নামিয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যায় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে । এদিন দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ ।।