এইদিন ওয়েবডেস্ক,চাঁচল(মালদা),০৬ সেপ্টেম্বর : দশ হাজার টাকা কাটমানি না দেওয়ায় মিলেনি সরকারি আবাস যোজনার ঘর ! তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সরব হলেন এক ব্যক্তি । ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মালদার চাঁচোল ১ ব্লকের মহানন্দপুর অঞ্চলের হারিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলী নামে জনৈক এক ব্যক্তি । এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁচোল-১ ব্লকের মহানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত তৃনমূল সদস্যা রুপসানা খাতুন । তবে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব সাফ জানিয়েছে কেউ অন্যায় করলে দল তার পাশে দাঁড়াবে না । অন্যদিকে এই ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি । চাঁচোল-১ ব্লকের বিডিও সমিরন ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
জানা গেছে,হারিয়ান গ্রামের বাসিন্দা বারেক আলী জনমজুরি করেন । স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে মাটির ছিটেবেড়ার দেওয়াল ও করগেটের ছাউনি দেওয়া ঘরে বসবাস । বছর খানেক আগে সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় তার নাম ওঠে বারেক আলীর । সেই তালিকা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য এর সাথে যোগাযোগ করেন তিনি । তাঁর অভিযোগ,সেই সময় ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রুপসানা খাতুন তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা কাটমানি বাবদ দাবি করেন । তিনি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন । এরপর বারংবার পঞ্চায়েত দপ্তরের ঘোরাঘুরি করলেও আবাস যোজনার সরকারি অনুদান মেলেনি বলে অভিযোগ বারেকের । তিনি বলেন,’সম্প্রতি জানতে পারি আমার টাকা অন্য একাউন্টে ঢুকেছে । এরপরই বিডিওর দ্বারস্থ হই ।’
যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যা রুপসানা খাতুন। তিনি বলেন, ‘টাকা চাওয়ার যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটা ভিত্তিহীন। ওই ব্যক্তি যাতে ঘরের টাকা পান সেই কারণে তিনি পঞ্চায়েত থেকে বিডিও অফিসের বারবার দরবার করেছেন ।’
এদিকে এই ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব । এই বিষয়ে চাঁচোল-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, ‘কারোর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে, দল পাশে থাকবে না ।’ যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি । বিজেপির মালদা জেলার যুব মোর্চার সভাপতি সুমিত সরকার বলেন, ‘তৃণমূলের কাটমানি খাওয়াতো নতুন কিছু নয়। কাটমানি শব্দটির সঙ্গে তৃণমূল ভালোভাবে পরিচিতভ। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে শুরু করে সব কিছুতেই তৃণমূলকে কাটমানি না দিলে কাজ হয় না ।’।