এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৮ আগস্ট : মালদার মানিকচকে ফের নদী বাঁধে ভাঙনের জেরে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে । এবারে মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর শঙ্করটোলা ঘাটে ফুলহার নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে । জানা গেছে, আজ সোমবার ভোর রাত ৩ টে নাগাদ ফুলাহার নদীর কয়েকশ মিটার বাঁধ ধসে প্রবল গতিতে নদীর জল ঢুকতে শুরু করে এলাকায় । নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাখা ছিল দুটি ট্রাক্টর, একটি স্করপিও এবং একটি বোলেরো গাড়ি । নদীর জলের বেগ এতটাই প্রবল ছিল যে ওই গাড়ি গুলি নিমেষের মধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে যায় । প্লাবিত হতে শুরু করে আশপাশের ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি । ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে । অনেক পরিবার বাড়ির প্রয়োজনীয় সামগ্রী মাথায় করে নিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছেন । আচমকা নদীর বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় তারা পূর্ব প্রস্তুতি নিতেও পারিনি । এই বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারির অভাবকে দায়ী করেছেন বন্যা কবলিতরা । গ্রামবাসীদের আশঙ্কা,দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থার না নিলে গোটা মানিকচক ব্লক প্লাবিত হয়ে যায়।
জানা গেছে, আপাতত বালির বস্তা ফেলে আরও ভাঙ্গন আটকানোর কাজ করছে প্রশাসন । পাশাপাশি বন্যা কবলিতদের আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পিংকি মন্ডল জানিয়েছেন,ভোর রাত ৩টে নাগাদ নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গাড়ি ভেসে গেছে । পাঁচটি বাড়ি প্রভাবিত হয়েছে । আপতকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের স্থানীয় স্কুল এবং ফ্লাড সেন্টারের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুর এলাকায় বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয় । মাত্র মাস দুয়েক আগে ১.৩৫ কোটি টাকা খরচ করে বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল । কিন্তু সেই বাঁধের নদীর জলের তোড় সহ্য করার মত যথেষ্ট ক্ষমতা ছিল না ।বুধবার সকালে সেই বাঁধের বিরাট অংশ ধসে গিয়ে হু হু করে ফুলহরের জল ঢুকতে শুরু করে মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুর এলাকায় । প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা । বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে একজন গ্রামবাসী ফোন করলে তিনি কাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেন । তার সেই গালাগালির অডিও রেকর্ডিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।।