এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৮ আগস্ট : নদীর জলে পেতে রাখা মাছ ধরার জালে আটকে প্রায়ই গাঙ্গেয় ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে । তার সঙ্গে রয়েছে চোরা শিকার । তার জেরে ক্রমশ কমছে গাঙ্গেয় ডলফিনের সংখ্যা । তাই বিশেষ প্রজাতির এই জলজ প্রাণীটিকে রক্ষার্থে কাটোয়ায় প্রচার অভিযান শুরু করল বনদপ্তর । রবিবার বনদপ্তরের তরফ থেকে কাটোয়ায় মরিঘাট, ফেরিঘাট, শাঁখাইঘাটসহ একাধিক জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয় । ট্যাবলো নিয়ে ঘুরে ঘুরে বনকর্মীরা প্রচার করেন, ‘আমাদের জাতীয় জলজ প্রাণী ডলফিন বা শুশুককে রক্ষা করা আমাদের সকলের নৈতিক কর্তব্য । ডলফিন হত্যা করা দন্ডনীয় অপরাধ । এই ধরনের কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।’
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,এক সময়ে কাটোয়ার ভাগীরথীতে প্রচুর ডলফিন বা শুশুক দেখা যেত । এখনও কেতুগ্রামের কল্যানপুর এলাকা থেকে কাটোয়া পর্যন্ত ভাগীরথী জুড়ে গাঙ্গেয় ডলফিন দেখা যায় । তবে আগের তুলনায় সংখ্যায় অনেকটাই কম ।কাটোয়ায় ভাগীরথী নদী ও অজয় নদের সঙ্গমস্থলকে গাঙ্গেয় ডলফিনদের বংশবিস্তারের উপযুক্ত জায়গা বলে মনে করা হয় । গত বছর এই সঙ্গমস্থল এলাকায় ১১ টি ডলফিন সন্তান প্রসব করেছিল । চলতি বছরে সেই সংখ্যাটি আরও বেড়েছে বলে বনদপ্তর সুত্রে খবর । তাই একটি ডলফিনেরও যাতে মৃত্যু না ঘটে সেই উদ্দেশ্যে এদিন থেকে এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করল বনদপ্তর ।
কাটোয়া মহকুমা বনআধিকারিক সুকান্ত ওঝা বলেন,‘কখনও কখনও চোরাশিকারীদের হাতে গাঙ্গেয় ডলফিন মারা পড়ছে । এছাড়া গঙ্গায় ফেলে রাখা মাছ ধরার জালের সুতোয় আটকে বা জাল গিলে ফেলে অনেক সময় ডলফিন মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে । তাই গাঙ্গেয় ডলফিন বাঁচাতে এদিন থেকে সচেতনতামূলক প্রচার করছি । সেই সঙ্গে আমাদের নজরদারিও জারি রয়েছে।’ পাশাপাশি তিনি স্মরণ করিয়ে দেন ডলফিন বা শুশুক হত্যা করা দণ্ডনীয় অপরাধ ।।