এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),৩১ জুলাই : গৃহশিক্ষকের বাড়িতে টিউশন পড়তে গিয়ে এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার চুরপুনি গ্রামে । মৃত পড়ুয়ার নাম সুজয় মাজি (১৩) । এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই গৃহশিক্ষক ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহশিক্ষক প্রায়ই সুজয়কে দিয়ে ফাইফরমাশ খাটাতো । শিক্ষকের কথাতেই সে বাল্ব লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ পড়ুয়ার পরিবারের । যদিও শনিবার বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে থানায় কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে ।
জানা গেছে,চুরপুনি অমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত সুজয় মাজি । তারা দু’ভাই বোন । সে বড় । সুজয়ের বাবা চাষবাস করেন । চুরপুনি গ্রামের বাসিন্দা অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে টিউশন পড়ত সুজয় । ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায় ।
স্থানীয় সুত্রে খবর, অতনুবাবুর বাড়ির বিদ্যুৎ লাইনের একটি হোল্ডারে বাল্ব লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সুজয় । তারপর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তড়িঘড়ি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রতিবেশী কয়েকজন যুবক । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । এদিকে এই ঘটনার কথা চাওড় হতেই গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । ঘটনার পর মৃত পড়ুয়ার লোকজন ও ক্ষিপ্ত প্রতিবেশীরা ওই শিক্ষকের বাড়িতে যান ।
মৃতের বাবা চাঁদু মাজি বলেন, ‘ঘটনার পর গৃহশিক্ষক কিছুতেই মুখ খুলতে চাননি । বিষয়টি গোপন করে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন । কিন্তু আমার ছেলের সঙ্গে আরও ৬-৭ জন পড়তে গিয়েছিল । তাদের কাছে জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে বাল্ব লাগানোর জন্য বলেছিল । আর বাল্ব লাগাতে গিয়েই আমার ছেলে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয় ।’ এদিন মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করা হয় । পুলিশ জানিয়েছে,অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।।