রাহুল রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১১ এপ্রিল : দিন সাতেক আগে বিকেলের দিকে অল্প সময়ের জন্য কালবৈশাখী ঝড় হয় । তখন বিশেষ গুরুত্ব দেননি চাষিরা ৷ এদিকে ভোটের মরশুম চলছে তাই তারপর সকলে ভোটের কাজে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন । কিন্তু এদিন রবিবার জমির ধান পরিচর্যার জন্য মাঠে যেতেই কার্যত মাথায় হাত পড়ে যায় কাটোয়া-২ ব্লকের শ্রীবাটি অঞ্চলের নন্দীগ্রামের কৃষকদের । কারন তাঁদের নজরে পড়ে কোনও কোনও জমির বোরো ধানের শিষ একেবারে সাদা হয়ে গেছে । আবার কোথাও কালো হয়ে গেছে সদ্য পুষ্ট হওয়া শিষের ধান । এর জেরে প্রচুর লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ চাষিরা ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,চলতি মাসের ৪ তারিখে বিকালের দিকে কাটোয়া-২ ব্লক এলাকার একাংশে কালবৈশাখীর ঝড় হয়েছিল ৷ নন্দীগ্রামের বাসিন্দা পেশায় চাষি উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কেনারাম মাল্লিক,দুকরি রায়রা বলেন, ‘ওই দিন সেভাবে বৃষ্টিপাত হয়নি । কেবল অল্প সময় ধরে ঝড়ের প্রকোপ চলেছিল । তাই ওই ঝড়ে ধানের যে কোনও ক্ষতি হতে পারে তা আমরা কল্পনাও করিনি । তাই ঝড়টাকে বিশেষ গুরুত্ব দিইনি আমরা ৷ তারপর আমরা ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি । কিন্তু এদিন জমির জল দেখিতে গিয়ে নজরে পড়ে সদ্য পুষ্ট হওয়া বোরো ধানের শিষগুলো একেবারে কালো হয়ে শুকিয়ে গেছে ৷ কোথাও কোথাও আবার সাদা হয়ে গেছে ধানের শিষ । এর ফলে এবারে বোরো চাষে উৎপাদন অনেক কম হবে বলে আশঙ্কা করছি।’
পাশাপাশি তাঁরা বলেন, ‘সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে অনেক আশায় বোরো চাষ করেছিলাম । এখন সেই ঋণ পরিশোধ করে কিভাবে সংসার চালাবো জানি না । তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ আমাদের কৃষি ঋণ মকুব করে দেওয়া হোক ।’ তাঁরা জানিয়েছেন,নন্দীগ্রামের পশ্চিমমাঠে গ্রামের যে সমস্ত চাষিরা এবারে বোরো চাষ করেছেন তাঁদের প্রায় সকলের জমিতেই ওই দিনের ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।
কিন্তু বর্তমানে ভোটের মরশুম চলছে । তাই নির্বাচনি আচরন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত না হতে হয় এই আশঙ্কায় প্রশাসন বা শাসকদলের নেতারা কেউই স্থানীয় চাষিদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেননি ।।