দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৩ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে । শুধু তাইই নয়, হত্যার পর ওই ব্যক্তির দেহের সঙ্গে পাথরের বস্তা বেঁধে ভাগিরথীতে ফেলে দিয়ে গেছে ঘাতক । আজ বুধবার সকালে কাটোয়া থানার অগ্রদ্বীপ গ্রামে পাটুলি ঘাটের কাছে টুটুল বিশ্বাস (৪৩) নামে ওই ব্যক্তির মৃতদেহটি ভাগিরথীর জল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ । পরে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । এদিকে নৃসংস এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
জানা গেছে,অগ্রদ্বীপের বাবলাডাঙ্গা পাড়ায় বাড়ি
টুটুল বিশ্বাসের । তার বাড়িতে রয়েছেন বিধবা মা, স্ত্রী ও এক ছেলে । ছেলে শুভম দশম শ্রেনীতে পড়াশোনা করে । মৃতের স্ত্রী সবিতাদেবী জানান, তাদের বসতবাড়ি থেকে কিছুটা দুরেই রয়েছে তাদের গোয়ালঘর । মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে চা বিস্কুট খেয়ে তার স্বামী বেড়িয়ে যাওয়ার কিছুক্ষন পর ফের একবার বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপর একটা ফোন এলে জামাপ্যান্ট পড়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে ফের বেড়িয়ে যান। এরপর রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি ।
তিনি বলেন,’আমার স্বামী প্রায়ই রাত করে বাড়ি ফিরতেন । তাই অনেক রাতেও তিনি বাড়ি ফিরছেন না দেখে আমরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমতে চলে যাই । আমার স্বামীর খাবার বেড়ে রেখে দিই । মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি তখনও স্বামী বাড়ি ফেরেননি। মোবাইলে ফোন করলে সুইচ অফ পাওয়া যায় ।’
জানা গেছে,এদিন ভোর থেকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন টুটুল বিশ্বাসের পরিবারের লোকজন । প্রায় আধ কিলোমিটার দূরে টুটুলবাবুদের জমির কাছে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায় । সন্দেহ হলে কাটোয়া থানায় খবর দেওয়া হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ । তারপর ফের শুরু হয় খোঁজাখুঁজি । শেষে পাটুলি ঘাটের কাছে কোমর সমান জলে টুটুল বিশ্বাসের দেহটি উদ্ধার হয় । মৃতদেহের সঙ্গে পাথরের বস্তা বাঁধা ছিল । স্থানীয়রা দেখতে পান ওই ব্যক্তির বাম হাতের উপরিভাগ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে । ঘাড়ে রয়েছে গভীর ক্ষত ।
জানা গেছে, চাষাবাদের পাশাপাশি টুটুলবাবু সুদে টাকা খাটাতেন । এই নৃশংস খুনের পিছনে ব্যবসায়িক বিবাদ,নাকি টাকার লোভেই তাকে খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় । একটি খুনের মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।।