এইদিন ওয়েবডেস্ক,সাহেবগঞ্জ,১৮ ডিসেম্বর : দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের ছায়া ঝাড়খণ্ডে । আদিবাসী স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দিয়ে এল ভিন ধর্মের স্বামী । ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বোরিও থানা এলাকায় । দৈনিক জাগরনের প্রতিবেদনে জানা গেছে, নিহত আদিবাসী মহিলার নাম রাবিতা পাহাড়দিন(২৫) । শনিবার সন্ধ্যায় বোরিও সাঁথালিতে নির্মাণাধীন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পিছনে ওই তরুনীর পায়ের টুকরো, দুটি আঙুল এবং পেটের অংশ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে ওই মহিলার একটি আঙুল, একটি কাঁধ, একটি নিতম্ব, একটি হাত, নীচের পিঠ, ফুসফুস এবং পেটের অংশ পাওয়া যায় । খবর পেয়ে রাতেই বরিও থানায় পৌঁছয় এসপি অনুরঞ্জন কিসপোতা ।
ঘটনার তদন্তে নেমে নিহত মহিলাকে চিহ্নিত করার পর পুলিশ জানতে পারে ওই মহিলার সঙ্গে মোহম্মদ মুস্তাকিমের ছেলে দিলদার আনসারির বিয়ে হয়েছিল । সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি দিলদারের পরিবারের সদস্যরা ।
এদিকে রাতেই দুমকা থেকে ডাকা হয় স্নিফার ডগ। তদন্তের পর পুলিশ অভিযুক্ত বোরিও বেল টোলার বাসিন্দা মোহম্মদ মুস্তাকিম আনসারি, তার স্ত্রী মরিয়ম খাতুন, ছেলে দিলদার আনসারি, দিলদারের স্ত্রী গুলেরা, মুস্তাকিমের দ্বিতীয় ছেলে আমির আনসারি, মাহতাব আনসারি, মেয়ে শরেজা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে । পাশাপাশি মইনুল আনসারীর বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে, যে শনিবার সন্ধ্যায় বোরিও সাঁথালি পঞ্চায়েতের প্রধান এরিকা স্বর্ণা মারান্ডির ছেলে মনোজ বোরিও থানার পুলিশকে জানান যে নির্মাণাধীন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাছে কিছু মানব অঙ্গ রয়েছে । খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশবাহিনী । রাতেই দুমকা থেকে আনা হয় স্নিফার ডগ । তারপর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের প্রায় তিনশ মিটার দূরে একটি বন্ধ বাড়ির তালাবদ্ধ ঘর থেকে বস্তায় ভরা টুকরো মাংস ও হাড় উদ্ধার করা হয় । এই নৃসংশ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যাতে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় তার জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায় ।।