এইদিন ওয়েবডেস্ক,তেহেরান,০৬ জুন : বোরখা আইন ঠিকমত না মেনে চলায় গত বছর সেপ্টেম্বরে ২২ বছরের কুর্দি তরুনীকে হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ । তারপর থেকেই গোটা ইরান জুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন হচ্ছে । এদিকে বিক্ষোভ দমন করতে নিষ্ঠুর আচরণ শুরু করে দিয়েছে ইরান সরকার । বহু বিক্ষোভকারীকে গুলি করে মারা হয়েছে অথবা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে । গ্রেফতার করা হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে । এবার নিজের দেশের জনগনের উপর ইরান সরকারের এই প্রকার নৃশংসতার প্রতিফলন ঘটছে ধর্মাচরণের ক্ষেত্রে । ফলশ্রুতি হিসাবে মসজিদ বিমুখ হয়ে পড়ছে ইরানের মানুষ ।
ইরানের এক বর্ষীয়ান ধর্মগুরু মোহাম্মদ আবোলগাসেম দৌলাবি (Mohammad Abolghassem Doulabi) বৃহস্পতিবার একটি সভায় বলেছেন যে নামাজিরা মসজিদমুখি না হওয়ার কারণে ইরানের ৭৫,০০০ মসজিদের মধ্যে ৫০,০০০ বন্ধ হয়ে গেছে । এনিয়ে তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন, একটি ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য বিষয়টি অত্যন্ত ‘চিন্তাজনক’ । ইরানে ধর্মের ফলাফলের কারণে মানুষ ধর্ম ত্যাগ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন ।
উল্লেখ্য,মোহাম্মদ আবোলগাসেম দৌলাবি ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন এবং দেশের সেমিনারিগুলির মধ্যে যোগাযোগের দায়িত্ব পালন করেন । তিনি বিশেষজ্ঞদের অ্যাসেম্বলির সদস্যও এবং সুপ্রিম লিডার নিয়োগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত । তিনি বলেন,’মানুষ যখন ধর্মের আউটপুট দেখে, তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় ধর্মে প্রবেশ করবে নাকি ধর্ম ত্যাগ করবে । যার মধ্যে রয়েছে “ধর্মের নামে মানুষের অবমাননা,” “ধর্মীয় ধারণা ও শিক্ষার মিথ্যাচার” এবং “মানুষকে একটি শালীন জীবন থেকে বঞ্চিত করা এবং ধর্মের নামে দারিদ্র্য সৃষ্টি করা ।” তিনি মন্তব্য করেছেন,ইরানিরা শাসকদের নিষ্ঠুর একনায়কত্ব দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে । যা মাহসা আমিনির নৈতিকতা নীতি হেফাজতে মৃত্যুর প্রেক্ষিতে সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক মাস সহিংস প্রতিবাদের দ্বারা প্রতিফলিত হয়েছে ।।