এইদিন ওয়েবডেস্ক,ফরিদাবাদ(হরিয়ানা),২৩ জুলাই : হরিয়ানার ফরিদাবাদের পাহাড়ি কলোনিতে দেবেন্দ্র নামে এক যুবককে গলা কেটে খুন করল তাঁর প্রতিবেশী ইমাম কোরেশি ৷ শুক্রবার কুরেশির বাড়ি থেকে দেবেন্দ্রের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । এদিকে ঘটনার কথা চাওড় হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । এলাকার হিন্দু সংগঠনগুলো রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করে । ঘটনা প্রসঙ্গে ফরিদাবাদের ডিসিপি (অপরাধ) নরেন্দ্র কাদিয়ান বলেছেন,’এই ঘটনায় নিহত দেবেন্দ্রের স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক ইমাম কুরেশিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । কারন ওই দু’জন মিলেই খুন করেছে দেবেন্দ্রকে । খুনের পর মৃতদেহ বস্তায় ভরে কুরেশির বাড়ির বাথরুমে রাখা হয়েছিল । তারা মৃতদেহ অন্যত্র পাচারের পরিকল্পনা করছিল । কিন্তু তার আগেই গোপন সুত্র থেকে পুলিশের কাছে খবর চলে আসে ।’
জানা গেছে,ফরিদাবাদের পাহাড়ি কলোনির বাসিন্দা বছর চল্লিশের দেবেন্দ্র ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাতেন । নিহতের ৩ সন্তান রয়েছে । দেবেন্দ্রের বাড়ির সামনেই বসবাস ইমাম কোরেশির । বৃহস্পতিবার রাতে তিন যুবক তাঁকে বাড়ির বাইরে ডাকে । দেবেন্দ্র বেরিয়ে আসতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলা কেটে ফেলে । পরে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে নিহতের স্ত্রী ইমাম কুরেশির সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল । আর তার জেরেই এই খুন । পুলিশের এফআইআরেও ‘অবৈধ সম্পর্কের’ কথা উল্লেখ রয়েছে ।
মৃত দেবেন্দ্রের শ্যালক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে । তিনি বলেন,’হত্যাকাণ্ড এতটাই নৃশংস ছিল যে আমি তা নিজের চোখে দেখতেও পারিনি ।’ তাঁর কথায়, ‘এ ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত, যাদের নাম পুলিশ প্রকাশ করছে না । আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও কঠোর ব্যবস্থার জন্য অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের সাথে দাবি জানাচ্ছি ।’।