নীল পাঠক,নন্দীগ্রাম(পূর্ব মেদিনীপুর),০৫ ডিসেম্বর ঃ এবার দলের কোপের মুখে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের দলীয় ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।তিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হল ভগবানপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতিকেও। দলের অন্দরমহলের খবর এভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আরও কয়েকজন ব্লক সভাপতিকে পদ থেকে সরানো হতে পারে।বিধানসভা ভোটের মুখে দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর সংস্পর্শে থাকা কারও ওপর ভরসা রাখতে চাইছেন না তৃণমূলের হাইকম্যান্ড।
শুক্রবার তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীকে কয়েকটি ব্লকের নাম উল্লেখ করে নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্লক সভাপতিদের সরিয়ে দিতে। শনিবার রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই দুই ব্লক সভাপতিকে সরানোর কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশিরবাবুকে। ওই দুটি ব্লকে কারা সভাপতি হবেন তাও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে মেঘনাদ পালের পরিবর্তে স্বদেশ দাস এবং ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকে মানব পড়ুয়ার পরিবর্তে শশাঙ্ক জানাকে তৃণমূল ব্লক সভাপতি করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
নন্দীগ্রামের তৃণমূলের সদ্যবিদায়ী ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ‘আমি প্রায় ১৫ বছর নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসে ব্লক সভাপতির কাজ করছি। নানা প্রতিকূত পরিস্থিতে ব্লকের নেতৃত্বরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার রাজনৈতিক অবস্থান খুবই পরিষ্কার। আমি শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী আছি। সেই কারণেই আমাকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এই সিদ্ধান্ত খুশি মনে মেনে নিয়েছি। পরবর্তীতে কী করব তা কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
নতুন ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাস বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমে আমি প্রথম জেনেছি আমাকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নেব। দল যেমন বলবে তেমন কাজ করব।’
শুভেন্দুর সঙ্গে দলের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।তারপরেই শুভেন্দুর বিষয়ে ‘অন্য ভাবনা’ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠক করার কথা। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি কী বলেন সেই দিকে গোটা রাজ্যের মানুষের মতো নন্দীগ্রামে দাদার অনুগামীরাও অপেক্ষা করে আছেন।