শ্যামসুন্দর ঘোষ,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৯ এপ্রিল : গুটি বসন্ত ও কলেরা রোগের প্রাদুর্ভাবে এলাকার মানুষের যখন দিশেহারা অবস্থা,সেই সময় মানুষের রোগমুক্তির জন্য দেবী শীতলা মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন জনৈক এক ব্রাহ্মণ । পেয়েছিলেন দেবীর স্বপ্নাদেশ । তারপর প্রায় ৭৫ বছর আগে নিজের বাড়িতে দেবী শীতলার পূজার প্রচলন করেন কাটোয়ার দাঁইহাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাতাইহাটের চক্রবর্তী পরিবারের পূর্বপুরুষ হরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী । ১৯৪৮ সালে চৈত্র মাসের শেষ শনিবারে তিনি এই পূজোর প্রচলন করেন তিনি । আজও নিষ্ঠার সঙ্গে বিশেষ ওই দিনটিতে চক্রবর্তী পরিবারের দেবী শীতলা মায়ের পূজো হয়ে আসছে । পারিবারিক পূজো হলেও চক্রবর্তী পরিবারের দেবী শীতলা মায়ের পূজো ঘিরে মেতে ওঠে গোটা এলাকার মানুষ ।
শাক্ত মতে পূজো হয় চক্রবর্তী পরিবারের দেবী শীতলা মায়ের । এই পূজোর নির্দিষ্ট কিছু বিধি আছে । দেবীকে ৩১ পদের ভোগ নিবেদন করতে হয় । দেবীর ভোগে দিতে হয় ১৫ রকমের ফল । শনিবার (৮ এপ্রিল ২০২৩) আলো ফুটতেই কুমোরপাড়া থেকে দেবীর প্রতিমা এনে পারিবারিক মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন কুলপুরোহিত । নৈবিদ্যের ডালি সাজিয়ে পুজো দিতে আসেন অসংখ্য শ্রদ্ধালু । অনেকে দেবীর কাছে মানত করেন । তাদের সেই মনষ্কামনা পূর্ণ হলে দেবীকে বিশেষ পূজো দেন । আগত শ্রদ্ধালুদের জন্য অন্ন ভোগের ব্যবস্থা করা হয় চক্রবর্তী পরিবারের তরফ থেকে ।
হরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী জীবিত থাকাকালীন তিনিই এই পূজো পরিচালনা করতেন । তাঁর মৃত্যুর পর পূজো পরিচালনার দায়িত্ব বর্তায় হরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ভাইপো ভাইজী বিজয়লক্ষী, স্বপন, তপন, গোপাল, গোবিন্দ, শুক্লা চক্রবর্তীদের উপর । তাঁরা জানান, কুলদেবীর পূজোতে ৭৫ বছর আগের প্রথাই মেনে চলা হয় ।।