প্রদীপ চট্টোপধ্যায়,বর্ধমান,২৭ সেপ্টেম্বর : বিজেপি করে এই সন্দেহে একই পরিবারের ছোট ছেলে ও মাকে মারধরের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে । সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শহর বর্ধমানের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লী মাঠপাড়া এলাকায় । তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করলেও আক্রান্ত পরিবার সুবিচার চেয়ে বর্ধমান থানার দ্বারস্থ হয়েছে ।
সুভাষপল্লী মাঠপাড়ার বাসিন্দা রাজকুমার লেট জানিয়েছেন ,তিনি নিজে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু তাঁর বেশ কয়েকজন বন্ধু বিজেপি পার্টি করে । রাজকুমারের অভিযোগ ,বিজেপি কর্মী বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করার জন্য ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হবার পর থেকে তাঁদের উপর অত্যাচার শুরু হয় । অত্যাচারের মাত্রা বাড়ায় তাঁদের সপরিবার ঘরছাড়াও থাকতে হয় । বাড়ি ফেরার জন্য কয়েকদিন আগে তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবু গাঙ্গুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেন ।তার মাধ্যমে বর্ধমান থানার পুলিশের সহযোগীতা পেয়ে এদিন সপরিবার বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরতেই এলাকার তৃণমূল নেতা নুরুল আলমের অনুগামী হিসাবে পরিচিত তিন তৃণমূল কর্মী দেবা মাল, দশরথ মাল ও অজয় মাল তাঁদের উপর চড়াও হয় । মারধোরও করে। ।
রাজকুমার লেটের মা মাধবী লেট অভিযোগে
বলেন,এদিন তাঁরা বাড়ি ফিরতেই তাঁকে ও তাঁর ছোট ছেলেকে শাসক দলের লোকজন মারতে শুরু করেদেয়। ওই সময়ে তাঁর কোলে ছোট্ট নাতি ছিল। শাসক দলের লোকজন ধাক্কা মারায় তিনি তাঁর নাতিকে নিয়ে পড়ে যান বলে মাধবীদেবী জানিয়েছেন। রাজকুমারের ছোট ভাই বিশ্বজিৎ লেট বলেন, ‘তাঁরা এখন তৃণমূল করেন।কিন্তু নুরুল আলমের অনুগামীরা কিছুতেই তা বিশ্বাস করতে চাইছে না। এদিন তিন তৃণমূল কর্মী লাঠি নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি মারে ।’
এই ঘটনা বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘কাউকে মারধরের ঘটনা কাম্য নয় ।এই ধরণের কাজের সঙ্গে কোন তৃণমূল কর্মী যুক্ত থাকার কথা নয় । ঘটনা বিষয়ে খোঁজ নেবেন বলে প্রসেনজিৎ বাবু জানিয়েছেন । তৃণমূল নেতা নুরুল আলম যদিও তাঁর দলের কর্মীদের উপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ।।