এইদিন ওয়েবডেস্ক,বিষ্ণুপুর(বাঁকুড়া),৩০ অক্টোবর : সাতসকালে বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত মৃতদেহ । শনিবার এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর পুরসভা এলাকায় । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মলয় দে (৩৮) । পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে । মৃতের পরিবারের অভিযোগ,কেউ বা কারা মলয়কে নৃসংসভাবে পিটিয়ে খুন করেছে । পুলিশ জানিয়েছে,ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারন জানা যাবে ।
জানা গেছে,বিষ্ণুপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মাধবগঞ্জ গয়লাপাড়া এলাকায় বাড়ি পেশায় স্বর্ণকার মলয় দে নামে ওই ব্যক্তির । তিনি বাড়িতে বসেই সোনারূপোর গহনা নির্মানের কাজ করতেন । তাঁরা ৩ ভাই ও ১ বোন । মলয় মেজো । তাঁদের বাবা অনেক দিন আগেই মারা গেছেন । বিধবা বৃদ্ধা মা তৃপ্তিরাণী দের কাছে থাকতেই অকৃতদার মলয়বাবু ।
ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
তৃপ্তিরাণীদেবী বলেন, ‘শুক্রবার রাত্রি দশটা নাগাদ খাওয়া দাওয়া সেরে নিজের ঘরে ঘুমতে চলে যায় মেজো ছেলে । তারপর এদিন সকালে বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে টিউবওয়েলের কাছে ছেলের রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখি । ছেলের কপালে ও মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল । মনে হয় কেউ বা কারা ছেলেকে খুন করেছে । ছেলের পা’দুটোকেও তারা মেরে ভেঙে দিয়েছে ।’ তবে খুনের কারন নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি মৃতের মা ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,ঘটনাস্থলের অনতিদূরে রয়েছে একটি মন্দির । প্রতিদিন ভোর সাড়ে চারটের সময় পূজো হয় মন্দিরে । স্থানীয়দের দু’একজন তখন পূজো দেখতে যান । এদিনও কয়েকজন পূজো দেখতে গিয়েছিলেন । তবে তখন খুনের বিষয়টি তাঁদের নজরে পড়েনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তাঁদের দাবি ভোর সাড়ে চারটের পর ঘটনাটি ঘটেছে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ ।।