এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২৩ মে : বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই দলীয় কর্মীদের শাসকদলের রোষের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব । এমনকি বহু বিজেপি কর্মী আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন বলে দাবি তাঁদের । এই অভিযোগের মাঝেই সম্পুর্ন এক ভিন্ন চিত্র দেখতে পাওয়া গেল বীরভূম জেলার দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা অঞ্চলের গৌরাঙ্গী গ্রামে । স্থানীয় বিজেপি কর্মী চরণ ঘোষের ৫ বিঘা জমির ধান হারভেস্টর মেশিন দিয়ে কাটিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন পদুমা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুকুল মণ্ডল । ওই তৃণমূল নেতাই তার সম্পূর্ণ খরচ বহন করলেন । এর জন্য তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী ।
জানা গেছে,গৌরাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা চরণ ঘোষ দীর্ঘদিন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন । এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল । পেশায় চাষি চরণবাবুর আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয় । অল্পবিস্তর জমিতে চাষবাস করেন তিনি । মূলত সেই উপার্জনেই অতিকষ্টে সংসার চলে । বিঘা পাঁচেক জমিতে এবারে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন চরণবাবু ।
রবিবার সকালে দেখা গেল হারভেস্টর মেশিন দিয়ে চরণবাবুর জমির ধান তোলার কাজে তদারকি করছেন পদুমা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুকুল মণ্ডল । তাঁর সঙ্গে রয়েছেন দুবরাজপুর থানার ওসি দেবব্রত সিনহা । হারভেস্টর মেশিনের সাহায্যে জমি থেকে ধান সংগ্রহ করার পর সেই ধান ট্রাক্টরে করে চরণবাবুর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
তৃণমূল নেতা মুকুল মণ্ডল বলেন, ‘ঘুর্ণীঝড় আসছে বলে শুনতে পাচ্ছি । তাই আমাদের গ্রামের চাষিদের মধ্যে যাঁদের পাকা ধান মাঠে আছে দুর্যোগ আসার আগেই সেগুলো মাঠ থেকে তোলার ব্যবস্থা করা হল । আমরা জানতে পারলাম চরণ ঘোষের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভালো নয় । তাই তাঁর পাঁচ বিঘা জমির ধান তুলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিলাম আমরা ।’
বিজেপি কর্মী চরণ ঘোষ বলেন, ‘আমার ৫ বিঘা জমির বোরো ধান পেকে গিয়েছিল । ধান তোলার জন্য টাকা পয়সা জোগাড় করার চেষ্টা করছিলাম । হয়ত ঘূর্ণিঝড় ঝড় আসার আগে মাঠ থেকে ধান তুলতে পারতাম না । তাতে আমাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হত । তৃণমূল নেতা মুকুল মণ্ডল উদ্যোগী হয়ে আমার জমির ধান মাঠ থেকে তোলার ব্যবস্থা করায় আমি তাঁকে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।’।