এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৮ নভেম্বর : মানসিকভাবে অসুস্থ এক যুবকের তান্ডব প্রত্যক্ষ করল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারবাসী । আজ শুক্রবার দুপুরে ভাতার থানার আলিনগর বাসস্ট্যান্ডে উপর কার্যত দাপিয়ে বেড়ায় শেখ সাদ্দাম নামে বছর ত্রিশের ওই যুবক । তার তান্ডবে বাদশাহী রোডে বেশ কিছুক্ষনের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । সামাল দিতে গিয়ে ষণ্ডামার্কা ওই যুবকের প্রহারে আহত হয়েছেন আসরাফুল আজিম নামে একজন ভিলেজ পুলিশসহ ৫ জন । সেই দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় প্রায় আড়াই তিন কিলোমিটার দূরে ভাতার থানার কন্ট্রোলরুমে কম্পিউটারে দেখার পর বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে যুবককে বাগে আনে । যুবককে ধরে প্রথমে থানায় আনা হয় । পরে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান শহরে । কিন্তু সেখানে গিয়েও তুলকালাম কান্ড বাধিয়ে দেয় সে । জানা গেছে,একটা বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করার সময় পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের হাত ফস্কে সে পালিয়ে গেছে । সকলে মিলে এখন তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে ।
জানা গেছে,আলিনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাড়ি সাদ্দামের ৷ বেশ কয়েক বছর আগে সে সুস্থই ছিল । বাড়ির পাশে সিমেন্টের পিলার ও প্লেট তৈরির ব্যবসা করত । কিন্তু কয়েক বছর হল সে ব্যাবসা তুলে দেয় । আর প্রায় তখন থেকেই তার মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দেয় । স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গত বুধবার এরুয়ার বাসস্ট্যান্ডে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর দলীয় কার্যালয়ের সামনে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে ওই যুবক । সেই সময় বিধায়ক সেখানে ছিলেন । যুবককে শান্ত করতে গিয়ে বিধায়ককেও তার হাতে হেনস্থা হতে হয় । এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দিতে যাচ্ছিল । কিন্তু যুবক পুলিশের গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে সড়কপথের উপরেই কার্যত তাণ্ডব শুরু করে । যদিও পুলিশ কোনওরকমে নিয়ে এসে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসার কয়েকঘন্টা সে ভালোই ছিল । কিন্তু আজ ফের তার মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায় ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,আজ দুপুর নাগাদ একটা মোটা কাঠ নিয়ে বাদশাহী রোডের উপর দাঁড়িয়ে যানবাহন আটকাতে শুরু করে যুবক । একটি লরিচালক তাকে সরে যেতে বললে ওই লরিতে ভাঙচুর চালাতে থাকে। কিন্তু যুবকের হামলার ভয়ে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসার সাহস করেনি । এরপর আলিনগর গ্রামের বাসিন্দা ভিলেজ পুলিশ আসরাফুল আজিম যুবককে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই সে মারমুখি হয়ে ওঠে । আসরাফুলকে বেদম মারধর শুরু করে । এই দেখে স্থানীয় বাসিন্দা মুন্সি তৌহিদ, এনামুল করিমসহ কয়েকজন তাকে বাঁচাতে এলে তারাও মার খায় । পরে পুলিশ বাহিনী গিয়ে হামলাকারী যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে ।।