দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৩ মে : রমজান মাসের শেষ দিনে এক ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধকে রক্তদান করার জন্য রোজা ভাঙতে হয়েছিল । কিন্তু তার জন্য কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি খুশির ঈদ উৎযাপনে । বেশ কিছু আদিবাসী শিশুদের ভূরিভোজের আয়োজন করে ঈদ উদযাপন করলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ঝুঝকোডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক মিসকিন মণ্ডল । তাঁর এই উদ্যোগে আপ্লুত শিশুদের পরিবার । শিক্ষকের মানসিকতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকার বাসিন্দারা ।
মঙ্গলবার ঈদ উপলক্ষে স্কুলে ছুটি থাকলেও কচিকাঁচাদের কলকাকলিতে মুখরিত ছিল ঝুঝকোডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় । এদিন সকাল থেকেই ঝুজকাডাঙ্গা, মেনাডাঙ্গা ও বামুনাড়া এই তিনটি গ্রাম মিলে ৪০-৫০ জন আদিবাসী শিশু মাতিয়ে রেখেছিল গোটা স্কুল চত্বর । শিশুদের সঙ্গে এসেছিলেন তাঁদের মায়েরাও । শিশুদের কাছে ছুটির দিনে স্কুলে আসার কারন জানতে চাওয়া হলে তারা বলে,’আজ খুশির ঈদ । তাই মিসকিন স্যারের সঙ্গে আমরা সকলে মিলে ঈদ উদযাপন করছি ।’
ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করেন মিসকিন মণ্ডল । একদিকে যখন শিশুরা দৌড়ঝাঁপে করছে অন্যদিকে তখন কয়েকজন সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলের মিডডে মিল তৈরির রান্নাঘরে শিশুদের জন্য দুপুরের খাবার তৈরি করতে ব্যস্ত মিসকিন । বেলা বারোটার মধ্যে রান্না শেষ । নিজের হাতে পরিবেশনের পর শিশুদের খাইয়ে দিতে দেখা গেছে তাঁকে । মেনুতে ছিল ফ্রাইড রাইস আর পনিরের তরকারি । মিসকিন বলেন, ‘আজ শিশুদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পেরে খুব আনন্দ পেলাম ।’।