এইদিন ওয়েবডেস্ক,আসানসোল(পশ্চিম বর্ধমান), ১৫ আগস্ট : পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে এক প্রৌঢ়াকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা ঘটেছে । ঘাতক ছাউনির টালি ভেঙে ঘরে ঢুকে ওই মহিলার গলার নলি কেটে খুন করে পালিয়ে গেছে । আজ মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম শ্যামলী কর্মকার (৫০)। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে । এদিকে ঘটনার পর থেকেই গাঢাকা দিয়েছে শ্যামলীদেবীর ছোট মেয়ে বৈশাখী মাঝি ও জামাই সদানন্দ মাঝি । পরিবারের সন্দেহ সদানন্দই খুন করেছে তার শাশুড়ীকে । ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
স্থানীয় সূত্রে খবর,আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত লালগঞ্জ গ্রামের শ্রীরামপুর পাড়ার বাসিন্দা মৃত শ্যামলী কর্মকার টালির চালের ঘরে বসবাস করতেন । সোমবার শ্যামলীদেবীর স্বামী দীপক কর্মকার কর্মসূত্রে কুলটি গিয়েছিলেন । রাতে একাই বাড়িতে ছিলেন শ্যামলীদেবী । এদিন সকালে প্রতিবেশীরা শ্যামলীদেবীর ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান । অনেক বেলা পর্যন্ত তিনি ঘর থেকে বের হচ্ছেন না স্থানীয়দের সন্দেহ হয় । এরপর তারা ঘরে ঢুকে শ্যামলীদেবীর রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয় ।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ,এর আগেও শ্যামলীদেবীকে খুনে চেষ্টা করেছিল ছোট জামাই সদানন্দ । কিন্তু সেবার বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন ওই মহিলা । তাঁদের সন্দেহ, সদানন্দই রাতের অন্ধকারে ছাউনির টালি ভেঙে ঘরে ঢুকে তার শাশুড়িকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করেছে । পুলিশ জানিয়েছে,ঘটনার তদন্ত চলছে ।।
আসানসোলে প্রৌঢ়াকে গলার নলি কেটে খুন, সন্দেহ জামাইয়ের দিকে
