এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,০৩ এপ্রিল : রবিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা । আজই হতে পারে ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ । যদিও বৃহত্তর সংখ্যক এমপিরাই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে । তাই অনাস্থার ফলাফল কি হতে চলেছে তা স্পষ্ট । সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইমরান খান তাঁর আসন রক্ষা করতে পারবেন না । সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘ইমরানের মন্ত্রীরা গত ৩ সপ্তাহ ধরে সংবিধান লঙ্ঘন করছেন, যা তাঁরা রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ।’ এদিকে দেশকে এগিয়ে নিতে নির্বাচন ছাড়া কোনো সমাধান নেই বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশীদ আহমেদ । তিনি
ইসলামাবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই । সংবিধানের অনুচ্ছেদে এটা খুবই স্পষ্ট যে, অনাস্থা প্রস্তাব সফল হলেও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবেন । তবে কতদিন তিনি কাজ চালাতে পারবেন তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু উল্লেখ নেই সংবিধানে ।’
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসন ৩৪২ টি । ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন ।বিরোধীদের হাতে আছে ১৭৭ ভোট । অনাস্থা ভোট বন্ধে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হলেও তা নাকচ করে দেওয়া হয় । ফলে অবধারিত অনাস্থা ভোট ।
প্রসঙ্গত,পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে কোনো সরকারই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি । ইমরানের ভাগ্যেও তেমনটা ঘটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য এই প্রথম রাজনৈতিক বিরোধীদের কারণে মেয়াদ পূর্ণ করতে পারছে না কোনো সরকার। এদিকে ক্ষমতা টিকিয়ে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ইমরান খান । গত বৃহস্পতিবার তিনি জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন । পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন । বক্তব্যে তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের কথাও তুলে ধরেন । ইমরান খান বলেন, ‘দেশে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার পতনের জন্য রাজনীতিবিদেরা ছাগলের মতো বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন । এই ষড়যন্ত্র বিদেশ থেকে শুরু হয়েছে। বিদেশে থাকা ব্যক্তিদের এখান থেকে সহায়তা করছেন মীর সাদিক।’ মুখ ফসকে যুক্তরাষ্ট্রের নামও করে ফেলেন ইমরান । যদিও মার্কিন বিদেশমন্ত্রক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিদেশী শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের কিছু রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশীদ আহমেদও । তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্র হলে যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের বিচার হওয়া উচিত । তাদের দলগুলোকে নিষিদ্ধ ও বাতিল ঘোষণা করা উচিত ।’।