এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১০ এপ্রিল : পাকিস্তানের স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮ টা নাগাদ ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল । তবে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে এনিয়ে চারবার অধিবেশন মুলতবি করা হয় । ইফতার ও মাগরিবের নামাজের জন্য অধিবেশন মুলতবি হয় । ইফতারের পর আমজাদ আলী খান নিয়াজির সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হলেও রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তা আবার মুলতবি করা হয় । এরপর অধিবেশন আদপেই আর বসবে কিনা এবং ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আয়োজন করা হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয় । সরকার চাইছিল যে করেই হোক শনিবার পার করে দিতে । ফলে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা নিয়ে টানটান উত্তেজনা ছিল পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ।
শেষ পর্যন্ত রাতভর চরম নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে (পার্লামেন্ট) অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান । স্পিকারের পদত্যাগের পর তাঁর ভাগ্য নির্ধারণী ভোট অনুষ্ঠিত হয় শনিবার রাত ২টার দিকে । পাকিস্তান মুসলিম লিগের (এন) সদস্য আয়াজ সাদিকের পরিচালনায় অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৩৪২ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে ১৭৪ জন ভোট দেন। যদিও বিরোধীদের ১৭২ জনের সমর্থন দরকার ছিল ।
এদিকে ভোটের ফলাফল নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে পাকিস্থানে । বিরোধীরা উচ্ছ্বসিত হলেও ইমরানের দল ফলাফল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে । আবার এই অনাস্থা নিয়ে অনেককে মজাও করতে দেখা গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । পিএমএল(এন) সহসভাপতি মরিয়ম নওয়াজ টুইট করেছেন,’আমার প্রিয় পাকিস্তানের দুঃস্বপ্নের দিন শেষ শেষ। এখন দেশকে সুস্থ করে তোলা ও মেরামতের সময় ।’
বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী এবং পিটিআই নেতা শাফকাত মেহমুদ অবশ্য বলেছেন,’আজ পাকিস্তানের জন্য একটি দুঃখজনক দিন । একজন ন্যায়পরায়ণ ও নির্ভীক নেতাকে পরিচিত দুর্নীতিবাজ মাফিয়াদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে হল এবং চলে যেতে হল।।’ তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন,’ইমরান খান আবার উঠবেন কারণ পাকিস্তানের জনগণ তাঁর এবং পিটিআইয়ের পাশে আছে ।’
অন্যদিকে সাংবাদিক সিরিল আলমেদা,আইনজীবী রীমা ওমররা ইমরান খানের সময়কালকে ‘হাইব্রিড শাসন’ বলে কটাক্ষ করেছেন ।।