এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,০৬ মে : রাজস্থানের পালি জেলার নানা থানা এলাকার একটি মসজিদের ভেতরে এক ১৯ বছরের তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মসজিদেরই ইমামের বিরুদ্ধে । এমনকি অভিযোগ যে আবদুল গনি নামে ওই ইমাম ধর্ষণের কথা বাইরে প্রকাশ করে দিলে তরুনীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন । যদিও বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনদের ঘটনার কথা তরুনী জানিয়ে দেয় । এরপর আবদুল গনির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করে পরিবার । এদিকে থানায় অভিযোগ দায়েরের খবর পেতেই চম্পট দিয়েছে গুনধর ইমাম । পুলিশ তাকে খুঁজছে ।
জানা গেছে,আবদুল গনির বাড়ি অন্য জেলায় । দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে পালি জেলার নানা থানা এলাকার ওই মসজিদে ইমামের কাজ করছিলেন তিনি । পরিবারের সাথে মসজিদের কাছেই থাকেন তিনি। নির্যাতিতা তরুনীর বাড়িও মসজিদের পাশেই । সেই সূত্রে তরুনীদের বাড়িতে যাতায়ত ছিল আবদুল গনির।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৩ মে ২০২৪)। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে নির্যাতিতার পরিবার জানান, বৃহস্পতিবার আবদুল গনি তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কে নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয় । এরপর তিনি নির্যাতিতার বাড়িতে যান । এখানে তিনি তরুনীকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের কথা বলে পরের দিন শুক্রবার মসজিদে আসতে বলেন এবং ফের মসজিদে ফিরে যান।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,বলা হচ্ছে, ইমামের নির্দেশ মত পরদিন শুক্রবার বিকেল ৪ টা নাগাদ মসজিদে পৌঁছায় তরুনী । ইমাম মেয়েটিকে মসজিদের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নির্যাতিতা প্রতিবাদ করলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ধর্ষণের পর ইমাম মেয়েটিকে হুমকি দেয় যে ভবিষ্যতে মুখ খুললে তাকে খুন করে দেবে । এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে মসজিদের একটা ঘরের দরজ বন্ধ করে রেখে তরুনীর উপর পাশবিক অত্যাচার চালাতে থাকে ইমাম আবদুল গনি । এদিকে সন্ধ্যার পরেও তরুনী বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন । শেষে তারা মসজিদে গেলে জানতে পারে যে তরুনী সেখানেই আছে । এরপর সেই নির্দিষ্ট ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখতে পায় তারা । অনেক ডাকাডাকির পর দরজা খোলা হলে তরুনী কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে এসে ঘটনার কথা খুলে বলে । এরপর ধর্ষক ইমামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ।।