এইদিন ওয়েবডেস্ক,গুয়াহাটি,২৪ মার্চ : কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামি স্টেটের(আই এস আই এস) প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লিঙ্কডইনে (LinkedIn) একটি খোলা চিঠি লিখেছিল হারিস ফারুকী (Haris Farooqi) নামে আইআইটি-গুয়াহাটির বায়োটেকনোলজির চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্র । আসামের ধুবরি জেলার বাসিন্দা ওই সন্ত্রাসবাদীকে শনিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সে আইএসআইএস-এ যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের পরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। লিঙ্কডইনে তার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে একটি চিঠি লেখার পর একটি লুকআউট সতর্কতা জারি করা হয়েছিল৷ পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে হাজোতে পাওয়া যায় এবং আটক করা হয় ৷ আইআইটি-গুয়াহাটি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে ওই ছাত্র দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন এবং তার ফোন নট রিচএবল ছিল। আসাম পুলিশের ডিরেক্টর-জেনারেল জিপি সিং টুইট করেছেন যে ছাত্রটিকে ভ্রমণের সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তাকে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি করা হবে৷
পুলিশ একটি ছাত্রের কাছ থেকে একটি ইমেল পাওয়ার পরে তদন্তে জানতে পারে যে সে আইএসআইএস-এ যোগদানের পথে ছিল৷ তার হোস্টেল রুমে তল্লাশি করলে একটি কালো পতাকা পাওয়া যায় যা আইএসআইএসের পতাকা এবং একটি ইসলামিক ধর্মীয় পাঠ্যপুস্তকও পাওয়া যায় ।
সূত্রের খবর যে ক্যাম্পাসে ওই ছাত্রের কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল না । হারিস ফারুকিকে গ্রেফতার করার পুলিশ জানতে পারে যে সে নিজেকে আইএসআইএস ইন্ডিয়ার নেতা বলে মনে করত । ফারুকী ছাড়াও তার সহযোগী অনুরাগ সিং ওরফে রেহানকে বুধবার আসাম পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ ফারুকী, ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয়, বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকার সময় ভারতীয়দের সন্ত্রাসবাদে উদ্বুদ্ধ করার কাজ করত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ তার বিরুদ্ধে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে আইএসআইএস মডিউল প্রতিষ্ঠার অভিযোগ রয়েছে ।।