প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৬ জুন : করোনার কারণে জারি হওয়া বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে প্রকাশ্য দিবালোকে চলছে বালি লুঠ ।পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের সাঁতলার আজয় নদের ঘাট থেকে বালি লুঠ হওয়ার কারণে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হলেও হেলদোল নেই প্রশাসনের । এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন খোদ ইজারাদার তথা আউশগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সেখ আব্দুল লালন । ইজারাদারকে অন্ধকারে রেখেই পুলিশ প্রশাসনের একাংশের মদতে বালি লুঠ চলছে বলে অভিযোগ এই তৃণমূল নেতার ।এমন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলে ।
আউশগ্রামের তৃণমূল নেতা সেখ আব্দুল লালন অজয় নদের বালি ঘাটের একজন ইজারদার। জেলা শাসককের কাছে লিখিত অভিযোগ তিনি জানিয়েছেন,”আউশগ্রামের সাঁতলার অজয় নদে তাঁর একটি বৈধ বালিঘাট রয়েছে।করোনার কারণে জারি হওয়া সরকারি বিধিনিষেধ মেনে তিনি এখন সেই ঘাট থেকে বালি তোলা বন্ধ রেখেছেন। কিন্তু একদল অসাধু ব্যক্তি প্রকাশ্য দিবালোকে প্রশাসনের নজরেই সেই ঘাট থেকে বেআইনি ভাবে বালি লুঠ করছে।” আব্দুল লালন আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি একাধিক বার প্রশাসনকে জানিয়ে ছিলেন । কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরফলে তিনি ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সরকারেরও রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে। সেই কারনে একবার তিনি অবৈধ ভাবে বালি তোলার ছবি সহ সবিস্তার ই-মেলের মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের কাছে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েন বলে জানান ।একই সঙ্গে তিনি বলেন ,অভিযোগের প্রতিলিপি তিনি জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক, ব্লকের বিএলআরও এবং আউশগ্রাম থানার আই-সি কে পাঠিয়েছেন ।
অভিযোগ জানানোর কারণ প্রসঙ্গে সেখ আব্দুল লালন বলেন,এই ভাবে বালি লুঠ হওয়ার কারণে তাঁর যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনী সরকারও রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । জেলা শাসক প্রিয়াংকা সিংলা বলেন, ‘এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’।