দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৪ অক্টোবর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের খেপিমা ও ঝুপোকালীর পূজো ঘিরে আলাদা উন্মাদনা কাজ করে শহরবাসীর মধ্যে । পাঁচশতাধিক বছরের প্রাচীন খেপিমার পুজো এবং ৪০০ বছরের বেশি প্রাচীন ঝুপোকালীর পূজোতে প্রতি বছর হাজার হাজার পূণ্যার্থীর সমাগম হয় । কিন্তু করোনা আবহের কারনে বিগত দু’বছর নামেমাত্র পূজোর আয়োজন করা হয়েছিল । তাই এবারে এই দুই পূজোকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেল । ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’কে উপেক্ষা করে দুই কালীতলাতে পূণ্যার্থীদের ঢল নামলো সোমবার ।
কাটোয়া শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঝুপোকালী প্রতিষ্ঠার পিছনে প্রাচীন কাহিনী প্রচলিত আছে । একটি নিমগাছকে কালী জ্ঞানে আজ পুজো করা হলেও আদপে এই পূজোর সূচনা করেছিল ডাকাতদের একটি দল । চার শতাধিক বছর আগে ভাগিরথীর তীরবর্তী কাটোয়া শহর ছিল জঙ্গলে পূর্ণ । আর ওই নিম গাছের নিচেই দেবীকে প্রতিষ্ঠা করেছিল ডাকাতদের ওই দলটি । ডাকাতিতে বের হওয়ার আগে দেবীর পূজো দিত তাঁরা । তবে কালের নিয়মে কাটোয়ায় জঙ্গল কেটে জনপদ গড়ে ওঠে । ডাকাতদলের অস্তিত্ব না থাকলেও আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পূজিতা হন দেবী । বর্তমানে নিমগাছের চারপাশ ঘিরে মন্দির নির্মান করা হয়েছে ।
অন্যদিকে খেপিমাকে অত্যন্ত জাগ্রত দেবী বলে মনে করেন কাটোয়াবাসী । প্রাচীন রীতি মেনে আজও পূজিতা হন দেবী খেপিমা । নিয়ম মেনে প্রতিবছর কালীপূজোর সময় দেবীকে পাঁচ কেজি ওজনের সোনার গয়নায় সাজানো হয় । গহনা পরিয়েই শোভাযাত্রা বের হয় । পূজোর দিন থেকে শোভাযাত্রা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ । এই দুই ঐতিহ্যবাহী কালীপূজো ঘিরে এদিন মেতে উঠেছে গোটা কাটোয়া শহর । বিশেষ করে খেপিমা ও ঝুপোকালী তলায় ছিল পূণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা ।।