এইদিন ওয়েবডেস্ক,সম্ভল(উত্তর প্রদেশ),২৬ মার্চ : উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের সার্কেল অফিসার (সিও) অনুজ চৌধুরী আজ বুধবার শান্তি কমিটির বৈঠকে বলেছেন,’ঈদে সেমাই খাওয়াতে চাইলে হোলিতেও গুজিয়া খেতে হবে, এক তরফা ধর্মনিরপেক্ষতা চলতে পারে না’ । তিনি পারস্পরিক শ্রদ্ধার উপর জোর দিয়ে বলেন,’তাদের গুজিয়া খাওয়া উচিত, এবং আমাদেরও সেমাই খাওয়া উচিত। কিন্তু গড়বড় তখনই হয় যখন একপক্ষ খেতে রাজি হলেও অন্যপক্ষ রাজি হয় না ৷ এখানেই ধর্মনিরপেক্ষতা শেষ হয়ে যায় ৷ আমি নেতাগিরি করছি না বা করারও ইচ্ছা নেই । প্রতিটি মানুষ নিজের মত করে বলে ।’
আজ বুধবার সম্ভল সদর কোতোয়ালিতে ঈদ এবং রাম নবমীর আগে অনুষ্ঠিত শান্তি কমিটির বৈঠকের পর এই বিবৃতি দেওয়া হয় । শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করার জন্য হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায় মিলে ৩০ টি কমিটির সদস্যরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। হোলির আগের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের জবাবে চৌধুরী বলেন,’যদি আমার বক্তব্য যদি ভুল হয় তাহলে একজন ব্যক্তিও কেন হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের চ্যালেঞ্জ করলো না ? তারা আমাকে শাস্তি দিতে পারত ৷ কারণ আমি কিছু ভুল বলিনি । উভায় ধর্মের জন্য সমান মন্তব্য করেছি আমি । আর সর্বদা আমার এই উদ্দেশ্যই থাকে । যাতে আমি যেখানে আছি সেখানে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে ।’
উল্লেখ্য,হোলির আগে, সিও অনুজ চৌধুরী আরেকটি শান্তি কমিটির বৈঠকে বলেছিলেন,’বছরে ৫২টি শুক্রবার আসে, এবং হোলি কেবল একবার আসে। যদি কারও রঙের সাথে সমস্যা থাকে, তবে তাদের সেই দিন ঘরে থাকা উচিত।’ তার এই মন্তব্যের ফলে রাজনৈতিক হট্টগোল শুরু হয়, বিরোধী দলগুলি তার সমালোচনা করে, অন্যদিকে বিজেপি তার বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান নেয় । মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও সিওকে সমর্থন করেন ।
এদিকে,আজ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শ্রী এস চন্দ্র স্পষ্ট করে বলেছেন যে রাস্তায় কোনও নামাজ (নামাজ) পড়তে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন,’শুধুমাত্র মসজিদ এবং ঈদগাহের মতো ঐতিহ্যবাহী স্থানে নামাজ পড়া হবে। নামাজের জন্য ছাদে অপ্রয়োজনীয়ভাবে মানুষ জড়ো হওয়া উচিত নয়। অসুবিধা এড়াতে লাউডস্পিকারের ব্যবহারও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’।
If you want to eat Simui on Eid, you will also have to eat Gujia on Holi, one-sided secularism cannot continue: Sambhal CO Anuj Chowdhury

