এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ নভেম্বর : বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অবর্ণনীয় নিপীড়নের ঘটনায় সবচেয়ে বড় বিপাকে পড়েছে ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিএম । কারণ হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে কড়া ভাষায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করলে এদিকে মুসলিম ভোট ব্যাংক কেটে যাবে । সেই কারণে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের বিষয়ে নামে মাত্র প্রতিবাদের পাশাপাশি হিন্দুত্ববাদীদের ওপর যাবতীয় দোষ চাপিয়ে দিয়ে দু’নৌকায় পা দেওয়ার মতো বিবৃতি জারি করেছে সিপিএমের পলিটব্যুরো । সিপিএমের মুখপাত্র ‘গণশক্তি’র ৩২৫ তম সংস্করণে বেশ চালাকি করে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত করা হয়েছে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের বিষয়ে । যার হেডলাইন করা হয়েছে, ‘দিল্লি ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা’ তুলতেই ঢাকা সরব ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে’ । যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ।
তিনি ওই কাগজের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে কোনো দলের নাম না উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘নাম লেখা না থাকলে বোঝার উপায় নেই এই সংবাদপত্র কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। মনে হবে বুঝি বাংলাদেশের কোনও সংবাদপত্র। ওই দেশে হিন্দু সংহার কে পুরোপুরি উপেক্ষা। হেডিং করা হয়েছে ‘ সংখ্যালঘু সুরক্ষা’ এই বলে কোটেশন এর মধ্যে। অর্থাৎ ভারতের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই হিন্দুদের নির্যাতন হচ্ছে বলা যায়নি। শুধু তাই নয়, ইউনুস সরকারের প্রচারকে তুলে ধরা হয়েছে। এই দল থাকলে ভারত বিরোধিতার জন্য দেশ বিরোধী শক্তির প্রয়োজন নেই।’
প্রতিবেদনের ইন্ট্রোতে লেখা হয়েছে,’বাংলাদেশের চলতি ঘটনা নিয়ে রীতিমতো বাঘ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে ঢাকা-নয়াদিল্লির । দিল্লি ইউনুস সরকারকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ‘প্রাথমিক দায়িত্ব’ স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জবাব দিয়েছে ঢাকা । সংখ্যালঘু সুরক্ষার প্রশ্নে ভারতের ‘দ্বিচারিতা’ ট্রেনের ঢাকা সরব হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের মিথ্যা প্রচার নিয়েও । এই বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতিতে লড়াইয়ের ভারকেন্দ্র আবার সেই সংখ্যালঘু সুরক্ষার প্রশ্ন ।’ প্রতিবেদনের মাঝে ফের ‘ভারতের দ্বিচারিতার’ কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ যাতে ভারতের তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী এই বামপন্থী দলের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে । অনেকে অভিযোগ করছেন যে বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে আসলে ‘দ্বিচারিতা’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে সিপিএমের মধ্যেই ।।