এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৯ ফেব্রুয়ারী : সদ্য জাতীয় রাজধানী দিল্লি বিধানসভার ভোটে নজরকাড়া ফলাফল করেছে বিজেপি । আর এই সাফল্যের পিছনে যেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হিন্দু ভোটব্যাংকের একাট্টা হয়ে বিজেপির সমর্থন জানানো । দিল্লির এই সাফল্যে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব ২০২৬ সালের ভোটে আশার আলো দেখছেন । অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারী বিভিন্ন পোস্ট করছেন । এমনই একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রীন শর্ট এক্স-এ শেয়ার করেছেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সহ সভাপতি তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তরুনজ্যোতি তিওয়ারি ।
সেই পোস্টে ‘আজিজ আল হাসান ২‘ নামে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন,’বাটেগা তো কাটেগা/ বাটোগে তো ঘাটোগে ৷ ঐক্যবদ্ধ হলে বাংলায় ৮৫ টা সিট মুসলমানদের ৷’
তার এই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় তরুনজ্যোতি আক্ষেপ করে লিখেছেন,’এই ছেলেটি বুঝতে পারলেও পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা পারছে না কেন? তারা কি সবাই মর্ডান কালিদাস? ঘুম ভাঙবে কবে?’ তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে মুসলিম ভোট ব্যাংক তৃণমূলের সবচেয়ে বড় শক্তি। রাজ্যের প্রায় ৮৫টি বিধানসভা আসন পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে এবং আরও ৩০টির মতো আসনে তারা ফ্যাক্টর। বেশিরভাগ বিধানসভায় মুসলমান জনসংখ্যা ২০ শতাংশের ওপরে, ফলে তাদের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তরুনজ্যোতি তিওয়ারির কথায়,’তৃণমূল মুসলমানদের ব্যবহার করে ভোট নেয়, ভাদু শেখদের মতো চরিত্র তৈরি করে, কিন্তু তার পরেও মুসলমানরা তৃণমূলের সঙ্গেই থাকে। অন্যদিকে হিন্দুরা এক হতে পারে না। যদি হিন্দুরা এক হত, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের মতো দলের কোনো অস্তিত্বই থাকত না। বিভাজনের রাজনীতি কে করছে?’ তিনি লিখেছেন,’কংগ্রেস ও বাম দলগুলোর ভূমিকা হিন্দু ভোট কাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ। এরা তৃণমূলকে সুবিধা করে দেয়। ২০২১ বিধানসভা ও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এটা স্পষ্ট হয়েছে।’
বিজেপির এই যুবনেতা আরও লিখেছেন,’ধর্মীয় অধিকার সংকুচিত হচ্ছে । স্কুলে সরস্বতী পূজা বন্ধ । বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপূজা বন্ধের নির্দেশ । হিন্দুদের নিজেদের ধর্ম পালন করতে কোর্টে যেতে বাধ্য হওয়া । মুসলমানরা জানে তাদের ভোটের মূল্য কত, তাই সরকার তাদের কথা শুনতে বাধ্য। কিন্তু হিন্দুরা নিজেদের ভোটব্যাংক তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছে।’ তিনি বলেছেন,’বাংলাদেশের উদাহরণ ভুলবেন না । বাংলাদেশে হিন্দুদের কী অবস্থা তা আমরা সবাই জানি। স্বাধীনতার পর থেকেই তারা অত্যাচারিত এবং বছরের পর বছর সংখ্যা কমেছে। পশ্চিমবঙ্গ সেই দিকেই এগোচ্ছে।’
তরুনজ্যোতি তিওয়ারি এরাজ্যের হিন্দুদের সতর্ক করে লিখেছেন,’বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে,এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়’, এটাকে মূলমন্ত্র করে ঐক্যবদ্ধ না হতে পারলে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ভবিষ্যতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। হিন্দুদের এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। তৃণমূল এবং তাদের এজেন্ট অর্থাৎ বাম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ভোট দিতে হবে। নিজের অধিকার রক্ষার জন্য এখনই এক হয়ে রুখে দাঁড়ানোর সময়।লড়াইটা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার , ২০২৬ হয়তো শেষ সুযোগ পশ্চিমবঙ্গে এরপর পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের অধিকার বলে আর কিছু থাকবে না।’।

